বাংলা হান্ট ডেস্ক : ৩০ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু হয়েছে তার। বাংলার বুকে তার প্রথম যাত্রা নিয়ে উন্মাদনার অন্ত ছিল না। উদ্বোধনের দিন উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পিয়ুষ গোয়েল, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Mamta Banerjee)। উপস্থিত থাকার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও (Narendra Modi)। কিন্তু মাতৃবিয়োগ হওয়ায় সশরীরে না এসে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন নমো। বিতর্ক ছিলই। নানা প্রশ্নে বিদ্ধ হয়েই যাত্রা শুরু করেছিল প্রধানমন্ত্রী স্বপ্নের বন্দে ভারত। কিন্তু তার সঙ্গে যে এমন হবে তা বোধহয় ভাবতে পারেন নি কেউই। শেষ পর্যন্ত বন্দে ভারত ট্রেনের উপর ছোঁড়া হল পাথর! বাংলার এই ঘটনার হতবাক সকলে।
আক্রান্ত বন্দে ভারত। মালদা ঢোকার মুখে একদল অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতি হামলা চালালো। ছোঁড়া হল পাথর। ভাঙা হল কাচ। এরপরই হইচই শুরু হয়ে যায়। দ্বিতীয় দিনের যাত্রাতেই জনরোষের মুখে পড়তে হল বন্দে ভারতকে। জনরোষ নাকি বিরোধী রোষ? তা জানেন না কেউই। তবে এই ঘটনার পরে উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। এই হামলা কি কাকতালীয়? নাকি পুরোটাই পূর্বপরিকল্পিত? পশ্চিমবঙ্গে কি ধীরে ধীরে জায়গা করে নিচ্ছে অশান্ত কাশ্মীরের সংস্কৃতি? সেখানে পাথর ছোঁড়া হত ভারতীয় সেনা উপর। নষ্ট করা হত সরকারি সম্পত্তি। আজ বাংলার বুকেও দেখা গেল সেই ট্রেন্ড! পাথর ছুঁড়ে বিরোধিতা করতে গিয়ে নষ্ট করা হল সরকারি সম্পত্তি। পাশাপাশি ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া হল বাংলার সম্মানও। এমনই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
তবে এই প্রথম নয়। এর আগে বেশ কয়েকবার বন্দে ভারতের যাত্রায় বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। বাংলার মতো একই ছবি দেখা যায় মোদির রাজ্যেও। গুজরাটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে ভ্রমণ করছিলেন এআইএমআইএম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। সেই সময় ট্রেনের জানালায় কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির পাথর ছোঁড়ে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তার দলের নেতা ওয়ারিস পাঠান এই দাবি করেন। এই হামলায় ট্রেনের জানলার কাচ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
ওয়ারিস পাঠান আরও দাবি করেন যে এআইএমআইএম প্রধান এবং দলের গুজরাট রাজ্যের সভাপতি সাবির কাবলিওয়ালা এবং অন্যান্য দলের নেতারা আহমেদাবাদ থেকে সুরাট যাওয়ার সময় ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’-এ যাত্রা করছিলেন। সেই সময় এই ঘটনাটি ঘটেছিল। গন্তব্যের থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে এই ঘটনা ঘটে।