বাংলা হান্ট ডেস্ক : বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সরে যেতেই আকাশে ঝলমলে রোদ্দুর উঠেছে, নভেম্বরের মাঝামাঝি মানেই শীত একেবারে দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে। ঘাসে ঘাসে শিশির জমেছে আর এই ঠান্ডা গরমের আবহাওয়ার সর্দি কাশি জ্বর এসব লেগেই থাকে ঘরে ঘরে। যদিও ওষুধ খেয়েও তা সব সময় নিরাময় হয় না আর যদি ওষুধ না খাওয়া হয় সে ক্ষেত্রে শ্বাসযন্ত্রের প্রভাব ফেলে। তবে কড়া ডোজের ওষুধ খাওয়ার আগে কিছু ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করলে সর্দি কাশি থেকে রেহাই পাওয়ার সহজেই সম্ভব। জেনে নেওয়া যাক সর্দি কাশি নিরাময়ে কয়েকটি অব্যর্থ টোটকা-
1. গলা খুশখুশ কমাতে দু কাপ জল নিয়ে সেটি কড়াইতে ফুটিয়ে তার সঙ্গে আদার কুচি ও লবঙ্গ মিশিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন তাতে সামান্য মধু যোগ করে পান করলে গলার খুশখুশ থেকে গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়ার সমস্যা সহজেই কমে আসবেই।
2. এ ছাড়াও গলা খুশখুশ কমাতেও চায়ের বদলে গরম জলে অল্প লেবুর রস মিশিয়ে তা পান করা যেতে পারে।
3. অনেকেই মনে করে থাকেন কলা ঠান্ডা লেগে সর্দি বসিয়ে দেয় তবে ধারণাটি ভুল কারণ কলা একটি নন অ্যাসিডিক খাবার তাই গলা খুশখুশ কমাতে খুবই কার্যকরী।
4. শীতকালে রোজ এক চামচ করে মধু খাওয়ার অভ্যাস করুন কারণ মধুতে থাকা ওষুধি গুণ এক দিকে শ্বাসনালির সমস্যা থেকে বাঁচার অন্য দিকে সর্দি ও কাশি নিরাময় করতে সাহায্য করে।
5. শীতকালে যাদের সর্দি কাশির চট করে ধরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাঁরা গাজর খান কারণ গাজরে থাকা ভিটামিন ও মিনারেলস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
6. সর্দিতে নাক বুজে গেলে সে ক্ষেত্রে একটি পাত্রে গরম জল নিয়ে নাক টানার অভ্যাস করুন। এতে জমে থাকা মিউকাস বেরিয়ে নাক পরিষ্কার করে দেয়।
7. শীতকালে যাঁদের সর্দি কাশির সমস্যা থাকে তারা প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন কারণ জল খেলেই শ্লেষা পাতলা হয়ে সর্দি কাশি বের করে দিতে সাহায্য করে।
8. নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া বা কাঁচা জল ঝরলে সে ক্ষেত্রে গরম জলের ভাপ নেওয়া অত্যন্ত কার্যকরী। 9. পাতিলেবুর রসের সঙ্গে মধু সে তা পান করুন। এতে গলা জ্বালা ছেড়ে যায়।