বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ছোট থেকে তিনি ছিলেন প্রতিভায় ভরপুর। তার লক্ষ্যভেদ প্রথম শুরু হয়েছিল গ্রামের আম গাছের আম পাড়া থেকে। গ্রামের সে কোন গাছে আম ঝুলে থাকতে দেখলেই তিনি ঢিল ছুড়ে সেই আম মাটিতে ফেলে দিতেন। তার লক্ষ্য এতটাই নিখুঁত ছিল যে গাছের আম মাটিতে ফেলতে তার বেশি সময় লাগত না। আর সেই আম পাড়া শুরু করে আজ তিনি বিশ্বের এক নম্বর তিরন্দাজ। তিনি আর কেউ নন তিনি হচ্ছেন তিরন্দাজ দীপিকা কুমারি।
দীপিকা কুমারির বাবা ছিলেন পেশায় অটোচালক, মা রাঁচি হাসপাতালে আয়ার কাজ করতেন। মাসিক আয় ছিল মাত্র দেড় হাজার টাকা। সেই টাকায় কষ্ট করে তাদের সংসার চলত, আর এই কষ্টের সংসারে মেয়েকে বড় তিরন্দাজ করার কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি দীপিকার মা-বাবা। তবে এই অভাব-অনটন দীপিকার লড়াই থামিয়ে রাখতে পারেনি। এই অভাবকে অনুপ্রেরণা করেই তিনি এগিয়ে গিয়েছেন আর আজ তিনি বিশ্বের সেরা তিরন্দাজ।
ছোট থেকে দীপিকার লক্ষ্য ছিল খুবই স্থির। মেয়ের এমন দক্ষতা দেখে কষ্টের সংসারেও মেয়েকে রাচির একটি তীরন্দাজ অ্যাকাডেমিতে ভর্তি করে দেন তার মা-বাবা। সেই তীরন্দাজ অ্যাকাডেমিটি ছিল ঝাড়খণ্ডের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডার স্ত্রী মিরা মুণ্ডার। তিনি প্রথমে দীপিকাকে তার অ্যাকাডেমি ভর্তি নিতে চাননি, তবে দীপিকা তাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন তিন মাসের মধ্যে তিনি নিজেকে প্রমান করবেন সেটা তিনি করেছিলেন, আর আজ তিনি বিশ্বের এক নম্বর তীরন্দাজ।