বাংলাহান্ট ডেস্ক: গত রবিবার থেকেই কার্যত লকডাউনে বন্ধ টেলিপাড়ার শুটিং। গত বছরের মতো এ বছরেও শুটিং বন্ধ হতে লকডাউনে বাড়ি বন্দি অভিনেতা অভিনেত্রীরা। এর মাঝেই খারাপ খবর পেলেন ‘কৃষ্ণকলি’র (krishnakali) শ্যামা ওরফে তিয়াশা রায় (tiyasha roy)। প্রিয়জনের মৃত্যুতে শোকে কাতর হয়ে পড়েছেন অভিনেত্রী।
লকডাউনের মধ্যেই প্রয়াত হয়েছেন তিয়াশার দাদু। অভিনেত্রী জানান, শুটিং বন্ধ হওয়ার পরেই গোবরডাঙায় তাঁর মামাবাড়ি চলে যান তিয়াশা। মামাবাড়িতেই ছোটবেলা থেকে বড় হয়েছেন তিনি। দাদুকে নিজের বাবার মতো ভালবাসতেন তিয়াশা। তাঁর প্রয়াণে কার্যত ভেঙে পড়েছেন অভিনেত্রী। এখনো মামাবাড়িতেই রয়েছেন তিনি।
রবিবার থেকে শুরু হয়েছে কার্যত লকডাউন। ওইদিন থেকেই বন্ধ টালিগঞ্জে শুটিং। সব সিরিয়ালের অভিনেতা অভিনেত্রীরাই এখন ঘরবন্দি। লকডাউনে শুটিং করা সম্ভব নয়। তাই ব্যাঙ্কিং এপিসোড দিয়েই কাজ চালাতে হবে সব সিরিয়ালকেই। তিয়াশা জানান, পাঁচ দিনের এপিসোডের ব্যাঙ্কিং রয়েছে তাদের। তবে আবার কবে শুটিং শুরু হবে তা এখনো জানানো হয়নি প্রযোজকদের তরফে।
প্রসঙ্গত, এবার এক বড়সড় টুইস্ট এসেছে কৃষ্ণকলিতে যা দেখে রীতিমতো বিষম খাওয়ার জোগাড় দর্শকদের। হঠাৎ করেই জানা গিয়েছে কৃষ্ণা ছাড়াও আরেক ছেলে রয়েছে শ্যামার। সেই ছেলেই শ্যামার প্রথম সন্তান। তার জন্মের কয়েক সেকেন্ড পর জন্মায় কৃষ্ণা। কিন্তু ওই ছেলের জন্মের পরেই টাকার লোভে তাকে বিক্রি করে দেয় শ্যামা কৃষ্ণার বেনারসের চাচি। বেনারসে এই চাচির কাছেই দীর্ঘদিন ছিল শ্যামা। তবে সেই সময় তাঁর আগের সব স্মৃতি লোপ পেয়েছিল।
হঠাৎ করেই শ্যামাকে ফোন করে তার ছেলের কথা জানান তিনি। শেষ বয়সে এসে তার অনুতাপ হচ্ছে। চাচির কথা শুনে অস্থির হয়ে পড়ে শ্যামা ও কৃষ্ণা। এখন সেই ছেলেকে কোথায় খুঁজবে তারা? এদিকে দেখা যায় শ্যামার সেই ছেলে বড় হয়ে খারাপ কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছে। এতদিন পর কীভাবে নিজের বড় ছেলেকে খুঁজে পাবে শ্যামা? সেটাই দেখার অপেক্ষায় রয়েছে নেটিজেনরা।