বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) টিম I-pac-র ২৩ জন সদস্যকে আটক করার অভিযোগ উঠেছে ত্রিপুরা (Tripura) পুলিশের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের (All India Trinamool Congress) তরফ থেকে বিজেপি এবং ত্রিপুরা পুলিশের বিরুদ্ধে এই বিষয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তোলা হয়েছে। যদিও, ত্রিপুরা পুলিশ সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে জানিয়েছে যে, করোনার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ওই ২৩ জনের টিমকে একটি হোটেলে থাকতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, পিকের টিম ২০২৩-এ ত্রিপুরায় হতে চলা বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ক্ষমতা মাপার জন্য গিয়েছিল।
ত্রিপুরা পুলিশ জানিয়েছে যে, কয়েকদিন আগে রাজ্যের বাইরে থাকা আসা মানুষদের করোনার কারফিউর মধ্যে আলাদা আলাদা জায়গায় ঘুরতে দেখা গিয়েছে। আর এই কারণেই পুলিশ IPac-র সদস্যরা যেই হোটেলে রয়েছে, সেখানে যায় এবং তাঁদের যাত্রার উদ্দেশ্য নিয়ে জানতে চায়। আগরতলার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, এদের সবার করোনার পরীক্ষা করানো হয়েছে আর রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এদের ওই হোটেলেই থাকতে বলা হয়েছে।
যদিও, আইপ্যাকের এক সদস্য জানান, তাঁদের হোটেলে কেন থাকতে বলা হয়েছে সেটা নিয়ে পুলিশ স্পষ্ট কিছু জানায় নি। তাঁদের শুধু বলা হয়েছে যে, উপর থেকে নির্দেশ এসেছে। তিনি জানান, আমাদের বলা হয়েছে যে, হয় করোনার রিপোর্ট আসা পর্যন্ত আমাদের এই হোটেলেই থাকতে হবে, নাহলে আমাদের বিমানে করে কলকাতায় ফিরে যেতে হবে।
অন্যদিকে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের এক আধিকারিক জানান, আইপ্যাকের টিমের সদস্যরা অনিবার্য আরটি-পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট না দেখিয়ে ত্রিপুরার করোনার নিয়ম লঙ্ঘন করেছে।
ত্রিপুরা তৃণমূলের রাজ্যসভাপতি আশিস লাল সিং বলেন, ‘এটা গণতন্ত্রের উপর আঘাত। সিং বলেন, আইপ্যাকের টিম এখানে একটি সমীক্ষার জন্য এসেছিল। রাজ্য সরকার তাঁদের নজরবন্দি করে রেখেছে, কারণ তাঁরা পরিণামে ভয় পায়। এটা ত্রিপুরার সংস্কৃতি না। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করি।”