বাংলাহান্ট ডেস্ক: ফের রাজনৈতিক দলগুলির নির্বাচনী প্রচারে (campaign) উঠে এল ভাইরাল (viral) গান। ‘টুম্পা সোনা’ ও ‘বেলা চাও’ এর পর তৃণমূল (tmc) ও বিজেপির (bjp) প্রচারে শোনা গেল ‘ফুলমনির মাই'(fulmonir mai)। মানভুঁইয়া ভাষার সুপারহিট গান ‘ফুলমনির মাই’ এখন ঘুরছে মানুষের মুখে মুখে। আর এই ভাইরাল গানকেই এবার প্রচারের কাজে লাগিয়েছে সবুজ ও গেরুয়া শিবির।
গোটা পুরুলিয়া জেলাতেই ছেয়ে গিয়েছে ‘ফুলমনির মাই’ গানের লাইনের মধ্যে দিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির ভোটের প্রচারের দেওয়াল লিখন। তৃণমূলের তরফে দেওয়ালে লেখা হয়েছে, ‘এগো এই/ ফুলমনির মাই। এবার টিএমসিকেই চাই। এগো এই ফুলমনির বাপ। এবার গোটাই ঘাসফুল ছাপ।’ অপরদিকে বিজেপির তরফে লেখা হয়েছে ‘ওগো ফুলমনির মাই/ইবার বিজেপিকেই চায়।’
মানভুঁইয়া ভাষার এই জনপ্রিয় গানকে নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহার করার বিষয়ে মানবাজার বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সন্ধ্যারানী টুডুর বক্তব্য, মানভুইঁয়া ভাষার গান যেন মন ছুঁয়ে যায়। ফুলমনির মাই ও তাই। এই গানের মাধ্যমে মানভূমের সংষ্কৃতিই ফুটে উঠছে। সেই কারণেই এই গানকে ভোটের প্রচারে ব্যবহার করছে তৃণমূল। মানবাজারের বিজেপি প্রার্থী গৌরি সিং সর্দারও বলেন, সংষ্কৃতির পাশাপাশি এই গানে একটা মজাও রয়েছে।
এর আগে টুম্পা সোনার প্যারোডি নিয়ে প্রচার শুরু করে বাম কংগ্রেস জোট ও বিজেপি। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলির ভোট প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছে ‘টুম্পা’। বামেদের দেখাদেখি ইতিমধ্যেই টুম্পার প্যারোডি বানিয়ে ফেলেছে বিজেপিও।
বাম বিজেপির টুম্পা প্যারোডি নিয়ে নিজেদের মতামত প্রকাশ করেন গানের স্রস্টা আরব দে চৌধুরী ও অরিজিৎ সরকার। আরবের কথায়, এর আগেও জনপ্রিয় গানের প্যারোডি বানিয়ে রাজনৈতিক ভোট প্রচারে ব্যবহার করা হয়েছে। তাতে কোনো আপত্তি নেই। শুধু দেখতে হবে টুম্পা গান বা তার স্রষ্টাদের গায়ে যেন রাজনৈতিক রঙ না লাগে।
আরব বলেন, বামেদের টুম্পা প্যারোডি ভাইরাল হওয়ার পর অনেকে মনে করছেন তারাই এই গানটি বানিয়েছেন বা বামেদের সমর্থন করে এই গান বানিয়েছেন তারা। কিন্তু তা ভুল। যেকোনো দলই গানের প্যারোডি করতে পারে কিন্তু অফিশিয়ালি গানটি কোথাও ব্যবহার করলে স্রষ্টাদের অনুমতি নিতে হবে।