বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হন প্রাক্তন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। সেই সময় থেকে শ্রীঘরের চার দেওয়ালের মধ্যেই দিন কাটছে ‘বীরভূমের বাঘ’র। বাংলা পেরিয়ে তার ঠিকানা হয়েছে দিল্লির তিহাড়। মেয়ে সহ স্বপরিবারের সেখানেই রয়েছেন কেষ্ট। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা জেলের অন্দরেই হেভিওয়েট এই তৃণমূল নেতা।
জেলে যাওয়ার পর থেকে বহুবার জামিনের আবেদন করেছেন অনুব্রত। তবে হয়নি কোনও সুরাহা। দীর্ঘ এই সময় ধরে জেলে থাকতে থাকতে শরীর-মন সব দিকে থেকেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত কেষ্ট মণ্ডল। তাই এবার নিয়মিত স্বশরীরে আদালতে হাজিরা দেওয়া থেকে অব্যহতি চাইছেন তিনি। কেষ্টর দাবি ভার্চুয়ালি হাজিরার ব্যবস্থা করা হোক।
মাছ-ভাতে বাঙালি মানে অধিকাংশই ‘শীত কাতুরে’। যেখানে দক্ষিণবঙ্গে ২০ ডিগ্রিতেই কাবু মানুষজন সেখানে দিল্লির ১০ ডিগ্রিতে তো জ্ঞান হারানোর জোগাড়। আর রাজধানীর সেই যম ঠান্ডায় রীতিমতো হাড় কাঁপছে অনুব্রতর। এসব একাধিক কারণে স্বশরীরে আদালতে হাজিরা দেওয়াতে অনীহা অনুব্রতর। এমনটাই সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: ‘TET পাশ’ মানেই চাকরি নয়, তাহলে কিভাবে হবে নিয়োগ? স্পষ্ট বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী
ওদিকে কেবল কেষ্টই নয়, মেয়ে সুকন্যা এবং অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সেহগাল হোসেনও ভার্চুয়ালি শুনানির আবেদন করেছেন বলে জানা গিয়েছে। জেল সূত্রে খবর, দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ বিশেষ ইডি আদালতে তিন জন অভিযুক্তরই ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজিরার আবেদন মঞ্জুর করেছে।
জানা যাচ্ছে কেষ্টদের ভার্চুয়াল শুনানির আরজির কোনও বিরোধিতা করেনি ইডি। তাই সহজেই তাদের আবেদন আদালতে মঞ্জুর হয়ে গিয়েছে। আপাতত পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই তিন জন ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমেই আদালতে হাজিরা দেবেন।