মোদীর সভার পরই শুরু তৃণমূল বনাম বিজেপি! মাঠে ধান পুঁতে প্রতিবাদে TMC বিধায়ক, পালটা বালি দুর্নীতি নিয়ে ময়দানে BJP

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত ১৮ ই জুলাই দুর্গাপুরে সভা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নেহরু স্টেডিয়ামে হয়েছে তাঁর জোড়া কর্মসূচি। সরকারি অনুষ্ঠানে প্রায় ৫০০০ কোটি টাকার প্রকল্প উদ্বোধনের পর দলীয় কর্মসূচির মঞ্চে বক্তব্য রাখেন তিনি। মোদীর সভা মিটতে না মিটতেই আক্ষরিক অর্থেই মাঠে নামলেন পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল (TMC-BJP) বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী (Narendranath Chakraborty)। বৃষ্টিতে কাদায় ভরা মাঠে ধান পুঁতে করলেন অভিনব প্রতিবাদ। পালটা কয়লা-বালি দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে তোপ দাগলেন বিজেপি (TMC-BJP) নেতা চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় (Chandrasekhar Banerjee)।

মোদীর সভার পর দুর্গাপুরে তৃণমূল-বিজেপি (TMC-BJP) দ্বৈরথ

দুর্গাপুরের ঐতিহ্যবাহী নেহরু স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয় নরেন্দ্র মোদীর সভা। গোটা মাঠ জুড়ে তৈরি করা হয়েছিল মঞ্চ। অভিযোগ, এই সভার জন্য ‘ধ্বংস’ করা হয়েছে স্টেডিয়ামের মাঠ। বৃষ্টির মধ্যে গোটা মাঠ জুড়ে জেসিবি চালানোয় সবুজ গালিচা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এর বিরুদ্ধেই অভিনব প্রতিবাদ করতে দেখা গেল তৃণমূল (TMC-BJP) বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে।

TMC-BJP clash in durgapur after narendra modi program

ধান পুঁতে প্রতিবাদ তৃণমূলের: সোশ্যাল মিডিয়ায় বিধায়কের পেজে শেয়ার করা ভিডিওতে তাঁকে দেখা যায় দলের কর্মী-অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে মাঠে নেমেছেন তিনি। বৃষ্টিতে মাঠে জমা জল কাদার মধ্যেই দাঁড়িয়ে ধান পুঁতে প্রতীকী প্রতিবাদ করতে দেখা গেল তাঁকে। ভিডিওটি শেয়ার করে অভিযোগ করা হয়েছে, দেশের তাবড় ক্রীড়াবিদদের প্রতিভার সাক্ষর রয়েছে এই মাঠে। কিন্তু যেভাবে এই মাঠে মঞ্চ তৈরি হয়েছে তাতে ক্রীড়াপ্রেমীদের একাংশের অভিযোগ, ‘এই মাঠ শেষ হয়ে গেল’।

আরও পড়ুন : মাঝ রাস্তায় যাত্রীদের নামিয়ে বাস যাচ্ছে ২১-এর জন্য! আমজনতার ক্ষোভের মুখে TMC নেতা বললেন, ‘ক্ষমা চাইছি’

পালটা জবাব বিজেপির: পালটা ভিডিও বার্তা দিয়ে আসরে নেমেছেন বিজেপির (TMC-BJP) বর্ধমান-দুর্গাপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল বিধায়ককে তীব্র কটাক্ষ শানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভাগাড়ের দিকে যেভাবে শকুনরা তাকিয়ে থাকে, উনিও রাজনীতির নামে ধান পুঁতলেন মাঠে।’ এরপরেই তাঁর অভিযোগ, ইরিগেশন ডিপার্টমেন্টের নির্দেশিকা এবং সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, নদীতে মেশিন নামিয়ে বালি উত্তোলন করা যায় না। কিন্তু পাণ্ডবেশ্বর, অজয় নদ থেকে বালির ট্রাক্টর ঢুকিয়ে গোটা শিল্প শহরের রাস্তাগুলিকে ধ্বংস করা হয়েছে। বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেই সরাসরি আঙুল তুলেছেন তিনি।

আরও পড়ুন : ‘আমার গণ্ডি রাজ্যের মধ্যে, যাঁরা ন্যাশনাল লিডার…’, হঠাৎ এমন কেন বললেন শুভেন্দু?

একই সঙ্গে বিজেপি (TMC-BJP) নেতা ঘোষণা করেছেন আগামীকাল থেকেই শুরু হবে তাঁদের প্রতিবাদ। শিল্প শহরের যে রাস্তায় বালির ট্রাক্টর দেখবেন সেখানেই বাটামের উপরে পেরেক পুঁতে প্রতীকী প্রতিবাদ করবেন তাঁরা। চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন, ২১ শে জুলাইয়ের সভাকে কেন্দ্র করে পাণ্ডবেশ্বরে কয়লা মাফিয়ারা প্রকাশ্যে মারামারি করছে। এই ব্যর্থতা কার? প্রশাসনের এই ব্যর্থতার বিরুদ্ধে সারা শহর জুড়ে প্রতিবাদের ডাকও দিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সভার পরেই শাসক-বিরোধী (TMC-BJP) তরজায় সরগরম হয়ে উঠেছে শিল্পশহর।