বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রবিবার ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। সেই তালিকায় নাম রয়েছে শর্মিলা সরকারের (Sharmila Sarkar)। পেশায় চিকিৎসক শর্মিলা চব্বিশের লোকসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে লড়বেন। পূর্ব বর্ধমান কেন্দ্রের প্রার্থী তিনি। এবার তাঁকে নিয়েই মাথাচাড়া দিয়েছে বিতর্ক!
জন্মসূত্রের পূর্ব বর্ধমানের মেয়ে শর্মিলা (Dr Sharmila Sarkar) বর্তমানে দমদমের বাসিন্দা। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মনোরোগ বিভাগের চিকিৎসক তিনি। এতদিন অবধি অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদে কর্মরত ছিলেন। তবে সোমবার প্রকাশিত পদোন্নতির তালিকায় দেখা যায় তাঁর নাম রয়েছে। অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর থেকে প্রোমোশনের পর প্রফেসর পদে উন্নীত হয়েছেন তিনি। গতকাল প্রকাশিত পদোন্নতির তালিকার প্রথম নামটিই পূর্ব বর্ধমান কেন্দ্রের তৃণমূল (Trinamool Congress) প্রার্থীর। আর তা নিয়েই দানা বেঁধেছে বিতর্ক।
নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) একটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ডাঃ শর্মিলা সরকার। তাহলে কীভাবে বিভাগীয় পদোন্নতি পেলেন তিনি? সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েই তো রাজনীতির আঙিনায় পা রাখার কথা! তাহলে কি রাজনীতির ময়দানে নাম লেখালেও স্বাস্থ্য দফতরের চাকরি থেকে ইস্তফা দেননি ডাঃ শর্মিলা সরকার? উঠেছে এই প্রশ্ন।
আরও পড়ুনঃ এবার মিঠুন চক্রবর্তীকে গ্রেফতারির দাবি! শোরগোল রাজ্যে
এই বিষয়ে জানতে একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। ফোন বেজে গেলেও তিনি ধরেননি। তবে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা (ডিএমই)কৌস্তভ নায়েক এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট জানান, ডাঃ শর্মিলা সরকারের ইস্তফা সম্বন্ধিত কোনও তথ্য তাঁদের কাছে নেই।
একই এক সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তার (ডিএমই) সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিষয়টি নিয়ে জানা নেই। পদোন্নতির যে প্রক্রিয়া আমাদের এখানে চলার, সেটাই চলছে। তিনি যে ইস্তফা দিয়েছেন এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য আমাদের কাছে নেই’। পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল প্রার্থীর নাম কি তাহলে এবার পদোন্নতির তালিকা থেকে বাদ পড়বে? এই বিষয়ে তিনি জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যা জানাবে সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।