বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত শুক্রবার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ২৯১ টি আসনে তৃণমূল প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছেন। ৩ টি আসন তৃণমূলের জোট সদস্য গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর এর সঙ্গে সঙ্গে নন্দীগ্রামে নিজের নাম ঘোষণা করেছেন তিনি। আজ নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নও জমা দিতে যাচ্ছেন তিনি। শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই না, তৃণমূলের আরও কয়েকজন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
তবে অবাক কাণ্ড ঘটেছে তৃণমূলের প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে নিয়ে। প্রার্থী ঘোষণার ১২০ ঘণ্টা পরেও ওনার কোনও খোঁজ নেই। ওনাকে দিয়ে চারিদিকে দেওয়াল লিখন শুরু হলেও বেপাত্তা কানাইয়ালালবাবু। ওনার বেপাত্তা থাকা নিয়ে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে নানান মহলে।
উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের প্রার্থী হয়েছেন কানাইয়ালাল আগরওয়াল। ওনাকে ওই কেন্দ্রের প্রার্থী করার পর তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল। তৃণমূলের একাংশ ওই কেন্দ্রে রায়গঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান অরিন্দম সরকারকে প্রার্থী চেয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে কানাইয়ালালের নাম ঘোষণা করেন।
কানাইয়ালালের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা হওয়ার পর অরিন্দম সরকারের সমর্থকরা পরের দিনই রায়গঞ্জ শহর জুড়ে প্রতিবাদ মিছিল করেন। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয়নি। প্রার্থী তালিকায় সংশোধন করে কানাইয়ালাকে বাদ দিয়ে অরিন্দম সরকারকে প্রার্থী করা হয়নি। আর সেই কেন্দ্রে কানাইয়ালালের নামে দেওয়াল লিখনও শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু নাম ঘোষণার পাঁচ দিন পরেও খোঁজ নেই প্রার্থীর।
কানাইয়ালাল শনিবার বিকেলে রায়গঞ্জ ব্লকের বিন্দোল এলাকায় দলীয় কর্মীদের নিয়ে একটি মিটিং করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু তিনি যেখানে মিটিং করেছেন, সেটি ওনার কেন্দ্র না। ওই এলাকা হেমাতাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রের আওতায় পড়ে। তবে নিজের কেন্দ্রের এত কাছে এসেও তিনি কেন রায়গঞ্জে আসলেন না, সেটা নিয়ে শুরু হয়েছে নানান জল্পনা।