তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই বিদায়ী বিধায়ক থেকে শুরু করে হেভিওয়েট নেতৃবৃন্দের বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়েছে। নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পেরে তাদের এই দলবদল। তবে প্রার্থী হয়েও যে কেউ দলবদল করতে পারেন, তা বোধহয় আন্দাজ করতে পারেনি শাসক শিবিরও। রাজ্য রাজনীতিতেও এমনটার নজির মেলা ভার। তবে সবাইকে তাক লাগিয়ে এমনটাই করলেন মালদার হাবিবপুরের ঘোষিত প্রার্থী সরলা মুর্মু।
পছন্দের আসন না পাওয়াতে তিনি বিজেপি-র দিকে পা বাড়িয়ে রবিবার রাতেই মালদা থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেয়। আজ বিজেপির মেগা যোগদান পর্বে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিতে তিনি গেরুয়া শিবিরে আনুষ্ঠানিক ভাবে নাম লেখান।
জানিয়ে দি, সরলা মালদার মালদার জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি। তিনি যে ভোটে লড়ার টিকিট পাবেন তা আগেই আন্দাজ করেছিলেন। সেই মত রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়ে রেখেছিলেন , তাকে যেন পুরাতন মালদার আসন থেকে প্রার্থী করা হয়। সরলার বাড়িও ওই কেন্দ্রে। তবে নিজের পছন্দের আসন না পেতেই একেবারে সবাইকে তাক লাগিয়ে পদ্মশিবিরে যোগ দেন।
সূত্রের খবর, মালদার হাবিবপুরে বিজেপি প্রার্থী যথেষ্ট জনপ্রিয়তার অধিকারী। তাই নির্বাচনে তার কাছে হেরে যাওয়ার আশঙ্কাই , সরলার বেঁকে বসার কারণ। দলীয় সূত্রে খবর, বিজেপি সরলার নিজের পছন্দের পুরাতন মালদায় তাকে প্রার্থী ঘোষণা করতে পারে।
অন্যদিকে, শুক্রবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার পর থেকেই, বাকি কেন্দ্রের মত মালদার হাবিবপুরেও সরলার নামে দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছিল। তবে আচমকা প্রার্থীর বেঁকে বসে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া মেনে নিতে পারছেন না স্থানীয় কর্মী-নেতৃবৃন্দরা। তারা ইতিমধ্যেই ক্ষুদ্ধ হয়ে সরলার নামে দেওয়াল লিখন মুছতে শুরু করে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, সরলা মুর্মুর এহেন পদক্ষেপ আগেই আন্দাজ করতে পেরেছিল তৃণমূল। সেই মত সোমবার সকালেই প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে, সরলার আসনে প্রার্থী বদল করে ঘোষণা করা হয় আরও এক হেভিওয়েট প্রদীপ বাস্কের নাম। তবে সেই বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থী বদলের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় সরলার শারীরিক অসুস্থতা।