বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ক্রিকেট ময়দান কাঁপানোর পর এবার পা রেখেছেন রাজনীতির আঙিনায়। বৃহস্পতিবার থেকেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান (Yusuf Pathan)। ব্যাট হাতে বাইশ গজে যেভাবে শাসন করতেন, রাজনীতিবিদ হিসেবেও সেই চেনা ঝলকই দেখা গেল তাঁর মধ্যে। সপাট জবাবে বহিরাগত বিতর্ককে ‘বাউন্ডারি’র বাইরে পাঠিয়ে দিলেন তিনি।
গত ১০ মার্চ ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার বাংলার বাইরের বেশ কিছু তারকাকে টিকিট দিয়েছে জোড়াফুল শিবির (TMC)। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন গুজরাতের ইউসুফ। এরপর থেকেই বহিরাগত ইস্যু নিয়ে সুর চড়াতে শুরু করে বিজেপি। ভোট প্রচারের প্রথম দিনে এই বিতর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হয় টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটারকে। জবাব দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি।
That was a googly that could have taken the wicket of any batsman, but not @iamyusufpathan. Our MP candidate effortlessly hits the ball out of the park.
“PM Narendra Modi is from Gujarat but contests elections from Varanasi.” What a way to settle the ‘outsider’ debate once on… pic.twitter.com/CYmggAoKCW
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) March 21, 2024
‘বহিরাগত’ (Outsider Issue) প্রসঙ্গে বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থী বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদী আদতে গুজরাতের হলেও নির্বাচনে বারাণসী থেকে লড়াই করেন। এটা আসলে মানুষের ভালোবাসার ফল। আপনার মধ্যে যদি কাজ করার ইচ্ছা এবং ক্ষমতা থাকে তাহলে দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে ভোটে লড়তে পারেন। আর এটা তো আমার ঘর। এটা আমি আগেও বলেছি। আমি এখানে থাকতে এসেছি’।
আরও পড়ুনঃ সাতসকালে ED হানা! মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়ি ঘিরে ফেলল কেন্দ্রীয় বাহিনী…
গতকাল নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে জনপ্রিয় এক সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন ইউসুফ। সেখানে তিনি জানান, রাজনীতির ময়দানে পা রাখার কোনও পরিকল্পনা তাঁর ছিল না। তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ভাবনাচিন্তা করার জন্য তিন দিন সময় নিয়েছিলেন। এরপর ‘হ্যাঁ’ বলে দেন। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো, উপকার করাই যে তাঁর লক্ষ্য, সেটা এদিন পরিষ্কার করে দেন কেকেআরের এই প্রাক্তন ক্রিকেটার।
একইসঙ্গে তৃণমূলের প্রশংসাও শোনা যায় ইউসুফের গলায়। বহরমপুরের জোড়াফুল প্রার্থী বলেন, ‘তৃণমূল প্রচুর ভালো কাজ করেছে। অনেক উন্নয়ন করেছে। কাজ করেছে দেখে ভালোলাগে। বাচ্চাদের পড়াশোনার ক্ষেত্রেও সাহায্য করে। এগুলো দেখে ভীষণ ভালোলাগে’।
ইউসুফ বলেন, বহরমপুরে প্রথমবার এসেই যে এত ভালোবাসা পাবেন কল্পনা করেননি। একদম বাড়ির মতো অনুভূতি হচ্ছে বলে জানান তিনি। তবে ‘অধীর গড়’ বলে পরিচিত এই কেন্দ্রে ঘাসফুল ফোটানোর কাজটা একেবারেই সহজ হবে না! প্রতিপক্ষকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আত্মবিশ্বাসের সুরে ইউসুফ বলেন, ‘মা-বাবার আশীর্বাদ সঙ্গে আছে। আমার বিশ্বাস, আমি যে কাজের জন্য এসেছি সেটায় সফল হবই’।