বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এবার বর্ধমানে বড়সড় ভাঙন দেখা দিলো শাসক দল তৃণমূলে। দুই হাজার নেতা কর্মী এবং প্রাক্তন কাউন্সলির তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিলেন বিজেপিতে। এছাড়াও ছিলেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান। বর্ধমানের কার্জন গেটের সামনে বিজেপির সাংসদ এস.এস আলুওয়ালিয়া-র উপস্থিতি এনারা বিজেপিতে যোগ দেন। তাছাড়াও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন র্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপিকা সঙ্গীতা সান্যাল।
এদিন বিজেপিতে যোগ দেন গুসকরা পুরসভার বিদায়ী তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং প্রাক্তন চেয়ারম্যান চঞ্চল গরাঁই। এদিন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর চঞ্চল গরাঁই জানান, তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূল করে আসছি, কিন্তু এখন দলে নবাগতদের সন্মান দেওয়া হয়, পুরানো নেতা, কর্মীদের কোন সন্মান নেই। তাই আমি বিজেপিতে যোগ দিলাম।
প্রসঙ্গত, প্রাক্তন চেয়ারম্যান চঞ্চল গরাঁইয়ের মেয়ে দেবযানী গরাঁই বহু আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। উনি এখন বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রীও। বেশ কিছুদিন ধরেই চঞ্চল বাবুর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা চলছিল। আর অবশেষে তিনি বর্ধমান – দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন।
সাংসদ তথা বিজেপির বরিষ্ঠ নেতা সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া বলেন, যারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাঁরা তাঁদের কর্মদক্ষতা অনুযায়ী দলের সন্মান পাবেন। বিজেপি ক্যাডার ভিত্তিক দল, বিজেপি সবসময় সংগঠনের উপর ভরসা করে। বিজেপির সংগঠনই বিজেপির শক্তি। এটা কোন পারিবারিক অথবা ব্যাক্তি ভিত্তিক দল না।