Ekchokho.com 🇮🇳

কসবা থেকে কাকদ্বীপ– কলেজে কলেজে ‘ভাইপো গ্যাং’-এর দাপটই কি নিয়োগের চাবিকাঠি? বিস্ফোরক শুভেন্দু

Published on:

Published on:

Suvendu Adhikari slams Bhaipo gang

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কসবা ল কলেজে (Kasba Law College) গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার তিন TMCP নেতাকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় উঠেছে। ধৃতদের একজন মনোজিৎ মিশ্র চুক্তিভিত্তিক কর্মী হলেও কলেজের প্রাক্তনী ছিলেন। এই ঘটনায় নতুন করে তোলপাড় হয়েছে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন (TMCP), নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং ‘ভাইপো গ্যাং’-এর দাপট নিয়ে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) অভিযোগ তুলেছেন—এভাবে পুরো শিক্ষাক্ষেত্রটাই নিয়ন্ত্রণ করছে এক রাজনৈতিক গোষ্ঠী।

কলেজে কলেজে ছড়িয়ে ‘মনোজিতরা’

শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) কসবা কাণ্ডের সূত্র ধরে সরাসরি বলেন, ‘‘কলেজে কলেজে মনোজিতরা আছে, এরা চিটিংবাজ ভাইপো গ্যাং (Bhaipo Gang)।’’ তাঁর দাবি, নিয়োগ হয় না বিকাশ ভবন থেকে (Education Department), তালিকা আসে তৃণমূল ভবন এবং ক্যামাক স্ট্রিট (Camac Street)-এর দপ্তর থেকে। তিনি অভিযোগ করেন, কলেজে নিয়োগে রাজনৈতিক আনুগত্যই মুখ্য, যোগ্যতা নয়।

বিধায়ক অশোক দেবের নাম উঠে আসায় নতুন বিতর্ক

মূল অভিযুক্ত মনোজিতের ‘জেঠু’ হিসেবে উঠে এসেছে তৃণমূল বিধায়ক অশোক দেবের নাম। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) বক্তব্য, অশোক দেব একসময় ভাল মানুষ ছিলেন, কিন্তু এখন ‘ভাইপো গ্যাং’-এর সঙ্গে মিশে গিয়েছেন। কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘বিধায়ক থাকতে হলে ভাইপো গ্যাং-কে সাপোর্ট করতেই হবে।’’ তাঁর দাবি, এই গোষ্ঠীর প্রভাব এতটাই গভীর যে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না।

Suvendu Adhikari slams Bhaipo gang

আরও পড়ুনঃ কসবায় ‘রক্ষকই ভক্ষক’! রাজনীতিতে নারীর ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত কল্যাণ

এখানেই শেষ নয়। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) প্রশ্ন, কলেজের অধ্যক্ষরা কেন মুখ খোলেন না? তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘অনেক জায়গায় ভয়ে আছেন, আবার অনেকের যোগ্যতাও নেই ওই পদে বসার।’’ একদিকে রাজনৈতিক চাপ, অন্যদিকে অযোগ্য লোকদের বসানো—এই দুইয়ে মিলে শিক্ষাঙ্গন আজ বিপন্ন বলে মনে করছেন তিনি।

সবশেষে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সাফ কথা, ‘‘এই ভয়ঙ্কর চক্র বন্ধ করতে হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সরকারকে সরাতেই হবে।’’ কসবা ভিডিও (Video) কাণ্ডকে কেন্দ্র করে বিজেপি একে পরিণত করেছে তৃণমূলের উপর বড় রাজনৈতিক আক্রমণে।