বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও, প্রধান পদে জয়ী তৃণমূল (Trinamool Congress) প্রার্থীর নাম বদলে দিয়েছে দল! এই অভিযোগ তুলে খোদ তৃণমূলের অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন দলেরই একাংশের কর্মীরা। যা নিয়ে রীতিমতো উত্তাপ ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বারাসাতে (Barasat)। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট মিটে গিয়েছে বেশ কিছুদিন হলেও এখনও একাধিক জায়গা থেকে উঠে আসছে এই ধরনের বিক্ষোভের চিত্র।
প্রধানের চেয়ার কার দখলে যাবে? এই নিয়েই প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বারাসাত ২ ব্লকের কীর্তিপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০টি আসনের মধ্যে ১৯টিই গেছে তৃণমূলের ঝুলিতে। একটিতে জয় পেয়েছে সিপিএম। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের পদ নিয়েই রীতিমতো কাড়াকাড়ি।
দলের একাংশের অভিযোগ, ভোটের আগে থেকেই দল তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল জয়ী প্রারিথী কৃষ্ণা পাত্রকে পঞ্চায়েত প্রধান করা হবে। তবে ভোট মিটতেই নাকি সব পাল্টে যায়। অভিযোগ বর্তমানে কৃষ্ণা পাত্রর বদলে মহেন্দ্র মণ্ডল নামে অন্য এক জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যকে পঞ্চায়েত প্রধান করার চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, এই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের পদ তফশিলি জাতি জন্য সংরক্ষিত।
প্রতিশ্রুতি দিয়েও না রাখার অভিযোগে শনিবার দলের বিরুদ্ধেই ফেটে পড়লেন কৃষ্ণা পাত্রর অনুগামীরা। গতকাল তৃণমূলের পার্টি অফিসে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখালেন ওই সকল কর্মীরা। কৃষ্ণার অনুগামীদের কথায়, প্রায় তিন-চার মাস আগের থেকে তাদের সমর্থনে জয়ী প্রার্থী কৃষ্ণা পাত্রকে প্রধান করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও এখন বলছে অন্য কাউকে করা হবে। নিজেদের প্রার্থীকে নিয়ে ভোটের আগে পরে বিজয় মিছিলও করেছেন বলে দাবি তাদের।
অন্যদিকে ঘটনার ঘিরে পরিস্থিতিতে এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে এদিন ঘটনাস্থলে যান রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা রথীন ঘোষ (Rathin Ghosh)। তার কথায়, “আমি আপনাদের কথাটা শুনলাম। আমার কথাটা শুনুন। আমি কথা বলছি ব্লকের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। তারপর দেখি কী হয়।’’ মন্ত্রীর আশ্বাস পেয়ে ধীরে ধীরে শান্ত হন বিক্ষুব্ধ কর্মীরা।