টাকা দিয়ে জেতানোর পরেও কথা শুনছেন না বিধায়করা, ক্ষোভ সংখ্যালঘু সেলের তৃণমূল নেতার

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অন্তর্দ্বন্দ্ব বা গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে বারংবার জেরবার হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। যা নিয়ে যথেষ্ট সরব বিরোধীরাও। এবার ফের একবার জলপাইগুড়ি থেকে উঠে এলো একই চিত্র। উত্তরবঙ্গে এমনিতেই পা রাখতে যথেষ্ট কসরত করতে হয়েছে তৃণমূলকে। মাটি শক্ত করতে রীতিমতো দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই লড়াইয়ের ফল কিছুটা মিলেছে বিধানসভা নির্বাচনে। কিন্তু গড় শক্ত হতে না হতেই মিলল চূড়ান্ত অন্তর্দ্বন্দ্বের আভাস। আর তা উঠে এলো একেবারে সংবাদমাধ্যমের সামনেই।

শনিবার সন্ধ্যায় তৃণমূল ভবনে সংখ্যালঘু সেলের সাংবাদিক বৈঠকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন জেলা কমিটির নেতা মোশারফ হোসেন (Musharraf Hussain)। এদিন জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি কৃষ্ণ কুমার কল্যানী (Krishna Kumar kalyani) এবং জেলাপরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মণের (Uttara Burman) সামনেই তিনি বলেন, বিধায়করা আমাদের কোন কথাই শুনতে চান না। তার দাবি বিভিন্ন স্কুল কলেজে যেসব কমিটি গঠন হচ্ছে সেখানেও স্থান পাচ্ছেন না সংখ্যালঘুরা। এমনকি পরীক্ষায় ভালো ফল করেও সংখ্যালঘু ছেলেমেয়েরা উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এদিন মোশাররফের আরও অভিযোগ, “আমরা লড়াই করে নিজেদের পকেট থেকে টাকা খরচ করে এখানকার বিধায়কদের জিতিয়েছি। নির্বাচনে জেতার পর আর তাঁদের দেখা যাচ্ছে না এলাকায়। আমাদের কোনও প্রয়োজনেই আর তাঁদের পাচ্ছি না আমরা। আমাদের অনেক দাবি জানানোর আছে। তবে সেসব পূরণ হচ্ছে না। সেই সবের বিষয়ে জানাতেও পারছি না। বিভিন্ন জায়গার বিভিন্ন কমিটিতে অন্য সম্প্রদায়ের মানুষ জায়গা পেলেও আমরা পাচ্ছি না।”

mamata banerjee

যদিও একদিকে যখন চলছে অন্তর্দ্বন্দ্ব, তখন অন্যদিকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের তৃণমূলে যোগদানে অবশ্য তার কোনও প্রভাব দেখা যায়নি। বরং এদিনও অল ইন্ডিয়া মাইনরিটি অর্গানাইজেশনের সমস্ত সদস্য একই সঙ্গে যোগদান ঘাসফুল শিবিরে।

Avatar
Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর