‘CAA নিয়ে আপত্তি নেই’, জানালেন অভিষেক! ভোটের আগেই হঠাৎ ডিগবাজি তৃণমূলের?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে সারা দেশজুড়ে লাগু হয়েছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। এই নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছে তৃণমূল। বাংলায় এই আইন কার্যকর না হতে দেওয়ার কথাও শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। তবে ভোটের প্রাক্কালে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) জানালেন CAA নিয়ে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই!

লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) মুখে জনপ্রিয় একটি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। খোলামেলা সেই সাক্ষাৎকারে উঠে আসে একাধিক প্রসঙ্গ। সেখানেই CAA নিয়ে কথা ওঠায় অভিষেক প্রশ্ন করেন, ‘২০১৯ সালে একটা বিল পাস হল, তার নিয়ম বানাতে ৫ বছর লেগে গেল?’

এরপরেই কেন্দ্রকে নিশানা করে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, ‘এটাই হল হাওয়া তোলা। ৩৯-৪০ পাতার নিয়ম তৈরি হলেও তাতে কিছু নেই! সবটাই অস্বচ্ছ। ভারতের নাগরিক যদি না হন তাহলে ভোটার কার্ড থাকবে না। তাহলে যারা এদেশের সাংসদ, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করলেন তাঁরা এদেশের নাগরিক নন? এটাই পলিটিক্যাল গিমিক’।

আরও পড়ুনঃ ‘যতই করো কান্নাকাটি, ধরা পড়েছে মাফলার, এবার যাবে হাওয়াই চটি’! কটাক্ষ শুভেন্দুর

এখানেই না থেমে অভিষেক বলেন, CAA নিয়ে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। তবে CAA লাগু হলেই এরপর NRC আসবে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়, ‘CAA-র পরে NRC আসবে। CAA নিয়ে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। একবার বলুন CAA হবে কিন্তু NRC হবে না। আমি বলছি আমরা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কোনও আপত্তি করব না’।

abhishek banerjee talks about caa

প্রসঙ্গত, CAA ইস্যুতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একাধিকবার সুর চড়িয়েছেন। চলতি মাসে হাবড়া একটি সভা থেকেই সাধারণ মানুষকে এই নিয়ে ‘সতর্ক’ করেছিলেন তিনি। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে ‘বিজেপির লুডো খেলার ছক্কা’ তকমা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা NRC-র সঙ্গে যুক্ত এটা মনে রাখবেন। আপনাদের ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে চলে যাওয়া হবে’। তাই দরখাস্ত করার আগে হাজারবার ভাবার কথা বলেন তিনি। মমতার কথায়, ‘একজন মানুষ অধিকার পেলে আমি খুশি হবে। তবে একটা মানুষও যদি বঞ্চিত হয় আমি সামনে দাঁড়িয়ে তাঁকে আশ্রয় দেব। আমি বাংলা থেকে কাউকে বিতাড়িত হবে দেব না’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর