বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিয়রে লোকসভা নির্বাচনে। এই আবহে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে বেছে বেছে বিরোধীদের নিশানা করছে বিজেপি। একাধিকবার এই অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। রাজ্যে এনআইএ এবং বিজেপির যোগসাজশ নিয়েও সুর চড়িয়েছে জোড়াফুল শিবির। এবার ফের একবার এই নিয়ে পদ্ম শিবিরকে নিশানা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ‘বিজেপির কী পরিণতি হয় দেখবেন, বাঁচানোর কেউ থাকবে না’, মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার সিঙ্গুরে সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন অভিষেক। সেখান থেকে কেন্দ্র এবং বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে সরব হন তৃণমূলের (Bharatiya Janata Party) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি দাবি করেন, বাংলায় এনআইএ-বিজেপির ‘আঁতাতে’র বেশ কিছু নথিপত্র তুলে ধরেছে তৃণমূল শিবির, তা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে কোনও প্রকার সক্রিয়তা দেখানো হচ্ছে না।
লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ব্যবহার করে বিরোধীদের নিশানার অভিযোগ তোলা হয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এদিন অভিষেক বলেন, ‘বিজেপি ভীত সন্ত্রস্ত। ওরা ভয় পাচ্ছে। মানুষের ওপর ওরা বিশ্বাস রাখতে পারছে না। ভয় থেকে এসব করছে। গণতন্ত্রের উৎসব হল নির্বাচন। কিন্তু সেই নির্বাচন প্রক্রিয়াতেই যাতে কেউ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ না করতে পারে সেটার ব্যবস্থা করছে ওরা। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের চিহ্নিত করে তাদের প্রার্থী, অঞ্চল সভাপতিদের হেনস্থা করা হচ্ছে’।
আরও পড়ুনঃ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিরাট রায়! হাই কোর্টের এক নির্দেশে রাতের ঘুম উড়ল শিক্ষকদের!
তৃণমূল ‘সেনাপতি’র কথায়, বিজেপির কাছে যারা বশ্যতা স্বীকার করেছেন, যারা মেরুদণ্ড বিক্রি করে দিয়েছেন তাঁদের ইডি, সিবিআই ডাকে না। আর যারা করেননি, তাঁদের জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারির কথা বলেন তিনি। একইসঙ্গে দাবি করেন, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বশ্যতা স্বীকার করেছেন, তাই সারদায় নাম থাকলেও তাঁকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ডাকে না।
অভিষেক এদিন বলেন, বিজেপি নিরপেক্ষ, অবাধ নির্বাচন চায় না। সেই জন্য ভোটের আগেই মাঠ ফাঁকা করতে শুরু করেছে। তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড বলেন, ‘নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীদের জেলে ভরে দিচ্ছে। বিজেপির সঙ্গে বৈঠক করার পর অঞ্চল সভাপতিদের বাড়িতে হাজির হচ্ছে এনআইএ। প্রধানমন্ত্রী বলছেন, দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে উনি লড়াই করবেন, লড়ুন না! কিন্তু বেছে বেছে কেন ধরছেন? মাথা বিক্রি করলে ধোয়া তুলসীপাতা, আর না বিক্রি করলে ইডি, সিবিআই হাজির হচ্ছে’।
সিপিএমের প্রসঙ্গ টেনে এরপর অভিষেক বলেন, ‘সিপিএম ভেবেছিল, চিরকাল ওরা বাংলায় ক্ষমতায় থাকবে। কিন্তু এখন ওরা শূন্য। বিজেপির কী পরিণতি হয় দেখবেন। বাঁচানোর কেউ থাকবে না’। তৃণমূল নেতার কথায়, মানুষ এই ধরণের রাজনীতি পছন্দ করে না।