বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের অভিযোগের তীর শাসক নেতার দিকে। প্রতারণা সহ শ্লীলতাহানির অভিযোগে জড়ালো মেদিনীপুরের (Medinipur) তৃণমূল নেতা (TMC Leader) তথা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য নিত্যানন্দ মণ্ডল। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর (Bangabanpur) থানার মহম্মদপুর এলাকায় ।
জানা গিয়েছে, আবাস যোজনা-সহ একাধিক সরকারি প্রকল্প পাইয়ে দেওয়ার নাম করে গ্রামের মহিলাদের কুপ্রস্তাব ও তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রস্তাব দিতেন এই অভিযুক্ত নেতা।মহম্মদপুরের এই তৃণমূল সদস্য গ্রামের একাধিক মহিলাদের নানারকম সরকারি প্রকল্পের সাহায্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিত। এবং তার বিনিময়ে গ্রামের একাধিক মহিলাকে কুপ্রস্তাবও দেয় বলে অভিযোগ।
এখানেই শেষ নয়, কিছুদিন আগে গ্রামের এক মহিলার বাড়িতে এসে হাজির হন এই অভিযুক্ত নেতা। সূত্রের খবর মহিলার স্বামী কর্মসূত্রে বাইরে থাকে। সেই সুযোগে ওই মহিলার বাড়িতে গিয়ে টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মহিলার সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন তিনি। এরপর ওই মহিলা তাকে বাধা দিতে গেলে যুবক জানায় তার শ্বশুরের নামে সরকারি প্রকল্পের তৈরী বাড়িতে আর কোনও রকম সুবিধা দেওয়া হবে না। পাশাপাশি ভোটার তালিকায় নাম তোলা হবে না তাদের। শুধু তাই নয়, মহিলাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন ওই মহিলা।
এরপরেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য পরে গিয়েছে গোটা এলাকায়। অভিযুক্ত ওই নেতার বিরুদ্ধে গ্রামের মহিলারা একত্রিত হয়ে ভগবানপুর থানায় পৌঁছান। অভিযুক্তর নামে থানায় দায়ের হয় লিখিত অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতর। এই প্রসঙ্গে শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে স্থানীয় বিজেপি শিবির। ভগবানপুরে বিজেপি নেতা তথা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি জানান, “ভগবানপুর থানার মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ অঞ্চলে পঞ্চায়েত সদস্য নিত্যানন্দ মণ্ডল প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে গ্রামের একাধিক মহিলাকে কুপ্রস্তাব দেয়। তারপরে গ্রামের মহিলারা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। শুনেছি থানা অভিযোগপত্র গ্রহণ করেনি। কঠোরতম শাস্তির দাবি জানাই ।”
অন্যদিকে মহিলা সহ বিরোধীদের অভিযোগ রীতিমতো তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছে শাসক দল। কাঁথি সংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অভিজিৎ দাস বলেন, বিরোধীরা তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে এসব কাল্পনিক ঘটনাকে হাতিয়ার করে। মহিলাদের করা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। অবশ্য এ বিষয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা নিত্যানন্দ মণ্ডলের কোনোরূপ প্রতিক্রিয়া এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।