ব্রিগেড যাবে বলে ৪০০ টাকা নিয়েছে! তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ‘তোলাবাজি’র অভিযোগ শ্রমিকদের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শ্রমিকদের কষ্টার্জিত টাকায় ‘ভাগ’ বসাচ্ছেন তৃণমূল (TMC) নেতা! লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে INTTUC-র ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে উঠেছে এমনই অভিযোগ। সম্প্রতি এই নিয়ে সুর চড়িয়েছেন শ্রমিকরা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর সংশ্লিষ্ট তৃণমূল নেতাকে নিশানা করেছেন দলেরই আর এক নেতা। যদিও সকল অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন অভিযুক্ত।

পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকে ১৫টি কোল্ড স্টোর রয়েছে। বছরের এই সময়টা হিমঘরে আলু মজুতের কাজ হয়। প্রচুর শ্রমিক সেই সময় আলু লোড/আনলোডের কাজ করেন। অভিযোগ উঠেছে সেই শ্রমিকদের (Labours) থেকেই নাকি টাকা নিচ্ছেন INTTUC-র ব্লক সভাপতি। অভিযোগের তীর অনুপম ঘোষ (Anupam Ghosh) ওরফে পিন্টুর দিকে।

এই প্রসঙ্গে কার্তিক প্রামাণিক নামের এক শ্রমিক জানান, ব্রিগেড যাওয়ার জন্য তাঁদের ৪০০ টাকা করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। আগামী ২০ তারিখের মধ্যে ফের টাকা দিতে হবে। কার্তিকের কথায়, ‘তৃণমূল সভাপতি এসেছিল। কখনও নিরুপমদা আসেন। আপনারা কিছুই বোঝেন না শ্রমিক শ্রেণি। যেটা বলছি সেটা করুন। আগের বছরই দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের বলছে ব্রিগেড যাওয়ার জন্য ৪০০ টাকা দিতে হবে। আগামী ২০ তারিখের মধ্যে ফের টাকা চেয়েছেন’।

আরও পড়ুনঃ পুরুষাঙ্গ পরীক্ষা করে তবেই CAA-তে নাগরিকত্ব দেওয়া হোক! প্রাক্তন রাজ্যপালের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়

শ্রমিকদের এই সকল অভিযোগ অবশ্য মানতে চাননি অভিযুক্ত অনুপম। তাঁর দাবি, টাকা নেওয়া হয়নি। INTTUC-র ব্লক সভাপতির কথায়, ‘১ বছর হল আমি দায়িত্ব পেয়েছি। খোঁজ করে দেখলে বুঝতে পারবেন কোথাও টাকা নেওয়া হয়নি। ১৮ ফেব্রুয়ারি শ্রমিকদের স্বার্থে একটা সম্মেলন হয়। টাউন হল ভাড়া করা হয়েছিল। তখন ব্লক সভাপতি হীরালালবাবুকে আমন্ত্রণ জানাতে গিয়েছিলেন। উনি যাবেন না বলে জানিয়ে দেন। তখন আমি শ্রমিকদের মাছ ভাত খাইয়েছি। কেউ যদি নিজের ইচ্ছায় ২-৫ টাকা দেয়, তাহলে সেটা কি অন্যায়?’

workers

অন্যদিকে শ্রমিকদের থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সুর চড়িয়েছেন ব্লক সভাপতি হীরালাল ঘোষ। একটি নির্দেশিকা জারি করে তিনি বলেছেন, টাকা তোলা বন্ধ করতে হবে। হীরালালের কথায়, তাঁর কাছে প্রচুর শ্রমিক অভিযোগ করেছেন। শ্রমিকের সংখ্যাটা হাজারেরও বেশি। প্রত্যেকের থেকে যদি ১০০ টাকা করে নেওয়া হয় তাহলে কত টাকা হয়? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এখানেই না থেকে হীরালাল বলেন, ‘আমি সঙ্গে সঙ্গে জানাই এই টাকা নেওয়া যাবে না’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর