কাটমানি খেতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন তৃণমূল নেতা, ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে রাখল জনতা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল (All India Trinamool Congress) নেতাদের কাটমানি খেতে না করেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও ওনার কথা কানেই নেন নি বহু নেতা। দলনেত্রীর নিষেধাজ্ঞার পরেও দেদার চলছিল কাটমানি খাওয়া। এবার সেই কাটমানি খেতে গিয়েই হাতেনাতে ধরা পড়লেন অশোকনগরের তৃণমূল নেতা। স্থানীয় বাসিন্দারা গুণধর তৃণমূল নেতাকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে পুলিশকে খবর দেয়।

অভিযোগ, অশোকনগর পুরসভা এলাকায় আবাস যোজনায় বাড়ি পেটে সমস্ত কাগজপত্র জমা দিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা শামলী হালদার। আবাস যোজনার সমস্ত কাগজই তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর সিদ্ধার্থ সরকারের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা বাদল ব্যাপারীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন তিনি। শ্যামলী হালদার বাড়ি বাড়ি পরিচালিকার কাজ করেন। আর হত দরিদ্র শ্যামলী সরকারকে আবাস যোজনার মাধ্যমে বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার জন্য ১০ হাজার টাকা চেয়ে বসেন বাদল ব্যাপারী।

শ্যামলী হালদার গোটা ঘটনার কথা খুলে জানান স্থানীয় ক্লাবকে। এরপরই গতকাল দুপুরে ক্লাবের সদস্যরা শামলী হালদারকে পরামর্শ দিয়ে বলেন যে, বাদল বাবুকে বাড়িতে টাকা নেওয়ার জন্য বাড়িতে ডাকুন। ক্লাব সদস্যদের পরামর্শ মতই কাজ করেন শ্যামলী হালদার। এরপর বাদল বাবু ক্লাব সদস্যদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে শ্যামলী দেবীর বাড়িতে কাটমানির টাকা নিতে গেলেই ওনাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন ক্লাবের লোকজন। এরপর ওনাকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে খবর দেওয়ার হয় পুলিশে। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে বাদল বাবুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।

এরপর অশোকনগর থানায় বাদল বাবুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শ্যামলী হালদার। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এর আগেও বহু অভিযোগ এসেছিল বাদলের বিরুদ্ধে। কিন্তু হাতেনাতে না ধরতে পারায় বাদলের বিরুদ্ধে কিছুই করা যাচ্ছিল না। কিন্তু এবার ক্লাব সদস্যদের চালাকির সামনে হার মানতে হয় বাদলকে। আর এবার তিনি টাকা নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে আপাতত শ্রীঘরে।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর