বাংলা হান্ট ডেস্ক : আজ দুপুর নাগাদ লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী তরজা। আর তারমধ্যেই ভালোরকম বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন উত্তর মালদার তৃণমূল (Uttar Malda TMC) প্রার্থী তথা প্রাক্তন পুলিশকর্তা প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় (Prasun Bandyopadhyay)।
শনিবার মালদা থানার হরিশচন্দ্রপুর থানা এলাকায় একটি কর্মীসভার আয়োজন করা হয়েছিল জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে। এইদিন সেখানেই উপস্থিত ছিলেন প্রসূন। সেখান থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে শায়েস্তা করার কথা বলে ওঠেন তিনি। তৃণমূল প্রার্থীর কথায়, ‘নির্বাচনে দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে বেশি বাড়াবাড়ি করলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে টাইট করা হবে।’
এখানেই শেষ নয়, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে টাইট দেওয়ার জন্য ওষুধও নাকি তৈরি হয়ে গেছে। যদিও এই ওষুধ বলতে তিনি ঠিক কী বুঝিয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে তৃণমূল প্রার্থী আগাম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তিনি যে ভয়ঙ্কর খেলা খেলবেন তার সামনে বিরোধীরা খড়কুটোর মত উড়ে যাবে। এমনকি গোটা মালদা স্তব্ধ করে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন : CAA নিয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্য! খোদ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের মতুয়াগড়ে
ছেড়ে কথা বলেননি প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও। তার কথায়, ‘খগেন মুর্মু পাঁচ বছরে কোনও উন্নয়ন করেননি। শুধু ওই জমিদারদের হয়ে কাজ করেছেন। মালদায় বিমানবন্দর কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য চালু হয়নি।’ তিনি জানিয়েছেন, তিনি একজন প্রাক্তন পুলিশকর্তা। নিয়ম কানুন তার সবই জানা আছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভয় যে তিনি পাননা সেকথা স্পষ্টই বুঝিয়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন : প্রথম দিনেই ফাঁস ফুড SI এর প্রশ্নপত্র! হতাশ পরীক্ষার্থীরা, প্রশ্নের মুখে খাদ্য দফতর
স্বাভাবিকভাবেই প্রসূনের এই মন্তব্যের পর থেকে শুরু হয়েছে চরম বিতর্ক। তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যের পর থেকেই শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে বিরোধীরাও। মুখ খুলেছেন খগেন মুর্মু। তিনি বলেন, ‘পুলিশ সুপার থাকাকালীন অনেক মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। জেলার মিথ্যা মামলার কারিগর উনি। এলাকায় তো তৃণমূলের আরও যোগ্য লোক ছিল, তাহলে বহিরাগত লোককে দাঁড় করানো হল কোন যুক্তিতে। ওনাকে জেতালে মানুষকে কলকাতা যেতে হবে দেখা করতে। তৃণমূল এখানে কোনও প্রার্থী পায়নি। তাই কলকাতা থেকে প্রার্থী এনেছে।’