বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের মহারণে বীরভূমের ভোটের আগেই নজরবন্দি করা হয়েছিল বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে মঙ্গলবার বিকেল ৫ঃ৩০ থেকে শেষ দফার নির্বাচন শেষ করে ৩০ এপ্রিল সকাল ৭টা পর্যন্ত ওনাকে নজরবন্দি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কমিশন। ভোটের আগে কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল।
তবে এবার কমিশনের চোখে ধুলো দিয়ে উধাও হয়ে গেলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। কোথায় গেলেন তিনি ? প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে সব মহলই। যেখানে রাত পোহালেই ভোট , সেখানে কমিশনের নজরবন্দি এড়িয়ে উধাও হয়ে গেলেন বীরভূমের (Birbhum) ‘কেষ্টদা’। বিশেষজ্ঞ মহল আশঙ্কা প্রকাশ করছেন আগামীকাল ভোটে জেলার স্পর্শকাতর বুথে হাজির হতে পারেন তিনি। যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলাজুড়ে। কমিশনের নজরবন্দি উড়িয়ে কিভাবে উধাও হলেন অনুব্রত, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার পর থেকেই তাঁর বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয় নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জাওয়ানদের। বুধবার সকালে অনুব্রত মন্ডল বোলপুরের নিজের বাড়ি থেকে বের হন। যে গাড়িতে তিনি গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন, তার ঠিক পিছনের গাড়িতেই ছিল কমিশনের আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা (Central Force)। তবে অকস্মাৎ একটি রাস্তার বাঁক থেকে উধাও হয়ে যায় অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি। তারপর থেকেই অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর গাড়ির হদিস মিলছে না বলে জানা যাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর জাওয়ানরা ইতিমধ্যেই শাসকদলের (TMC) এই প্রভাবশালী নেতাকে খুঁজতে হন্যে হয়ে গিয়েছেন। অনেকেই অনুমান করছেন বীরভূমের ‘কেষ্টদা’ নানুর ও সংলগ্ন স্পর্শকাতর এলাকায় গিয়ে থাকতে পারেন। জানিয়ে দি, ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশ পাওয়ার পর থেকেই নিজের স্বভাব সিদ্ধ ভঙ্গিতে একেরপর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি। তাঁর ভয়ংকর খেলার ডাক থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ‘নরেন ও নরেন’ সম্মোধন তাঁকে সংবাদের শিরোনামে তুলে এনেছিল। সেই অনুব্রত মন্ডলকেই ঊনিশের লোকসভা নির্বাচনের মতো এবারও নজরবন্দি করে কমিশন। তবে কমিশনের চোখে ধুলো দিয়ে তাঁর এমন উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়।