টাকা নেই! ‘আয়োজন করব কোথা থেকে’, এবারেও গ্রামবাসীদের খাওয়াতে পারছেন না অনুব্রত

Published on:

Published on:

anubrata mondal(1)

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জেল থেকে বাড়ি ফিরে আগের বছর দুর্গাপুজো নিজের গ্রামের বাড়িতেই কাটিয়েছেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। নানুরের হাটসেরান্দি গ্রামে কেষ্টর গ্রামের বাড়িতে পুজো হয়। হাটসেরান্দিতে দুর্গাপুজো তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রতি বছরই কেষ্টর পুজো কাটত গ্রামের বাড়িতে, গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে। পুজোর পাশাপাশি গ্রামের মানুষদের জন্য পাত পেতে খাওয়ানো একপ্রকার ঐতিহ্য গড়ে তুলেছিলেন অনুব্রত। প্রতিবছর অনুব্রতর বাড়ির পুজোয় নিয়মিত ৩ থেকে ৪ হাজার মানুষজন পেট ভরে খাওয়ানো হত। তবে বর্তমানে সেই চিত্র বদলেছে।

এবারেও গ্রামের বাড়িতেই অনুব্রত | Anubrata Mondal

২০২২ সালের আগস্ট মাসে সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট। টানা দুবছর জেল বন্দি থাকার পর ২০২৪ সালে দুর্গাপুজোর ঠিক আগে তিহাড় থেকে বোলপুরে ফেরেন কেষ্ট। বাড়িতেই পুজো কাটান। তবে গতবছর চোখে জল নিয়ে কেষ্ট জানিয়েছিলেন আর্থিক সামর্থ্য নেই। তাই পুজোয় আর লোক খাওয়ানো সম্ভব নয়। এবারেও সেই পুরোনো ‘ঐতিহ্য’ ফেরানো গেল না।

একটা বছর পেরিয়েছে। ধীরে ধীরে রাজনীতিতে ফের সক্রিয় হয়েছেন কেষ্ট। বর্তমানে তিনি জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির কনভেনার। তবে রাজনীতিতে কামব্যাক করলেও আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য নেই বলে পুরনো ‘আভিজাত্য’ আর ফেরাতে পারছেন না কেষ্ট। তেমনটাই স্পষ্ট করলেন।

এবারে তার গ্রামের মানুষদের আশা ছিল, এ বছর হয়ত ফের পেট ভরে খাওয়া দাওয়া করা যাবে। কিন্তু অনুব্রত সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘আমার কোনও অ্যাকাউন্টই খোলেনি। খাওয়ার আয়োজন করব কোথা থেকে।’ উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় অনুব্রতের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ় করেছিল ইডি এবং সিবিআই। সেই অ্যাকাউন্ট বন্ধ রয়েছে বলেই জানিয়েছেন কেষ্ট।

Anubrata Mondal

আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য! আড়াই কেজির চওড়া পেটির ইলিশের দাম ১৪০০০ টাকা, হচ্ছে নিলাম

তবে আড়ম্বর না থাকলেও পুজোতে গ্রাম ছেড়ে থাকার কথা ভাবতেই পারেন না অনুব্রত। অনুব্রত বলেন, ‘আমি প্রতি বছরই আগে বাড়ির প্রতিমা দর্শন করি। তারপর অন্য ঠাকুর দেখি। আমাদের পূর্বপুরুষের পুজো। ওই পুজোর প্রতি অমোঘ টান রয়েছে’।