বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কদিন আগে বীরভূমের মাটিতে রোড শো করে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সেই রোড শো-কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পাল্টা পদযাত্রা কর্মসূচী ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই ঘোষণার পর বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) সরাসরি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচিতে কমপক্ষে আড়াই লক্ষ মানুষের সমাগম হবে। কথা দিয়ে কথা রেখেছেন কেষ্ট, আড়াই লক্ষ হয়েছে কিনা বলা মুশকিল, তবে অমিত শাহের রোড শো ছাপিয়ে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রা।
তবে কর্মী-সমর্থকদের জড়ো করা অনুব্রত মণ্ডলই জায়গা পেলেন না দিদির মঞ্চে। এমনকি জনসভাতেও মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোনা গেল না কেষ্টর নাম। শুধু একবার তিনি অনুব্রত মণ্ডলের নাম নিয়েছিলেন সভা থেকে। গতকালের সভা আর পদযাত্রার প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন খোদ কেষ্ট। কিন্তু এরপরেও বঞ্চনার শিকার তিনি।
গতকাল বোলপুর লজ মোড় থেকে জামবুনি পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর পদযাত্রায় তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কে দেখা গেলেও, দেখা যায়নি অনুব্রতকে। যদিও অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ সুত্র দাবি করেছেন যে, উনি দিদির মতো অত জোরে হাঁটতে পারবেন না। ওনার শরীর দেবে না, তাই তিনি পদযাত্রা থেকে দূরেই ছিলেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, কেষ্ট হাঁটতে না পারার জন্য পদযাত্রা থেকে দূরে থাকলে, সভায় ওনাকে দেখা গেল না কেন? গোটা সভাতে মাত্র একবারই কেন মুখ্যমন্ত্রী ওনার নাম নিলেন?
মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চে বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়, সাংসদ অসিত মাল, বাউল শিল্পী লক্ষ্মণ দাস আর বাসুদেব দাস থাকলেও ছিলেন না অনুব্রত। আর এই নিয়ে ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য।