বাংলাহান্ট ডেস্ক : নদীয়ার হরিণঘাটা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তিনি। এছাড়াও তার পরিচয় রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি। সেই দাপুটে নেতার স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ নিতে অস্বীকার করলো খোদ থানা! এমনটাই অভিযোগ অভিযুক্তের স্ত্রীর!
অভিযুক্তের নাম রাকেশ পারুই। নদীয়া জেলার অন্যতম দাপুটে তৃণমূল নেতা। হরিণঘাটা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলেটের পদ ছাড়াও সামলান রানাঘাট জেলার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সংগঠনের সভাপতির পদ।
অভিযোগ বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে রাকেশ পারুই তার স্ত্রী শ্রাবণী পারুইকে মানসিক ও শারীরিকভাবে অত্যাচার করে আসছেন। শুধু রাকেশই নয়, তার স্ত্রীর অভিযোগ রাকেশের পরিবারও এই মারধোরের ঘটনায় অভিযুক্ত। এই পুরো বিষয়টা নিয়ে হরিণঘাটা থানার দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেতা রাকেশ পারুইয়ের স্ত্রী শ্রাবণী। কিন্তু শ্রাবণীর অভিযোগ, হরিণঘাটা থানা কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ নিতে চায়নি।শ্রাবণীর আরো অভিযোগ রাকেশের পরিবার তার সন্তানকে তার কাছে আসতে দিচ্ছে না।
বেশ কিছুদিন আগে রাকেশ পারুইয়ের এর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করেন শ্রাবণীর দিদি। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, রাকেশ তাদের পরিবারের থেকে বহুবার অনেক টাকা নিয়েছেন । পাশাপাশি তার আরও অভিযোগ, তাকে সামনে রেখে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছে রাকেশ। সেই জন্য নাকি জেলও খাটতে হয়েছে তাকে।
পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে না পেরে অবশেষে আদালতের দারস্ত হয়েছে শ্রাবণীর পরিবার। রাকেশকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানিয়েছেন তার স্ত্রীকে ভুল বুঝিয়ে এসব ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।