লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েও মেলেনি পদ! অঞ্চল সভাপতি ও প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আত্মঘাতী TMC নেতা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোটের আগেই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী রইল মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। আত্মঘাতী নিমতিতা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা মালা হালদারের স্বামী বিশ্বনাথ হালদার। দলেরই বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন ওই ব্যক্তি। অভিযোগ, প্রধান করার প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জের নিমতিতার তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) অঞ্চল সভাপতি সামিউল হক এবং প্রধান মইদুল ইসলাম। এই দুজনের অভিযোগ তুলেই আত্মঘাতী বিশ্বনাথ হালদার।

মঙ্গলবার গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় জঙ্গিপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই ব্যক্তিকে। ভর্তিও করানো হয়। তবে শেষ রক্ষা হল না। বুধবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়। অন্যদিকে, যাদের বিরুদ্ধে এত সব অভিযোগ সেই সব অস্বীকার করেন নিমতিতা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সামিউল হক।

সূত্রের খবর, গতকাল দুপুরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সামিউল হকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বিশ্বনাথ হালদার। অভিযোগ করেন, স্ত্রী মালা হালদারকে প্রধান করার আশ্বাস দিয়ে তাঁর কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ নেওয়া হয়েছে। পদ পেতে নিজেদের সোনা-গয়না বন্ধক দিয়ে বিক্রি সেই টাকা দিয়েছেন বলেও দাবি করেন ওই ব্যক্তি।

tmc flag

নিজের সবটা দিয়েও স্ত্রীকে প্রধান না করায় মানসিক অবসাদে তিনি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন বলেও জানান ওই তৃণমূল নেতা। গতকাল বিষ খেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি। অসুস্থ অবস্থায় ওই নেতাকে প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও আর বাঁচানো গেল না। এদিন সকালে শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

দলেরই নেতাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে তৃণমূলেরই নেতার মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল পরে গিয়েছে গোটা এলাকায়। ভিডিও বার্তায় নিজের আত্মহত্যার কারণ উল্লেখ করে ওই ব্যক্তি বলেন গোটা ঘটনার পিছনে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সামিউল হক, বর্তমান প্রধান মইদুল ইসলাম, দুই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তথা আজফারুল হক এবং তাজামুল হক ছাড়াও আরও দু’জন জড়িত রয়েছে। তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন সভাপতি সামিউল হক। পালটা ওই ব্যক্তিকেই বিভিন্ন ভাবে আর্থিক সাহায্য করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর