বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূলে ভাঙন অব্যাহত। একের পর এক নেতা, বিধায়ক, মন্ত্রী দল ছেড়ে যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। আর এরই মধ্যে বেসুরো হলেন তৃণমূলের আরও এক নেতা। মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান দুলাল সরকার ঘোষণা করেছেন যে, তিনি তৃণমূলের প্রতীকে আর কোনও নির্বাচনে লড়বেন না। ওনার এই ঘোষণার পর বেসুরো তৃণমূল নেতাকে দলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, গতবারের বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় দলের একাংশের অন্তর্ঘাতকে দায়ি করেছিলেন দুলাল সরকার। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখান মৌসম বেনজির নূর।
লোকসভা নির্বাচনে মালদহ উত্তরের আসনে বিজেপির প্রার্থীর কাছে হেরে যাওয়ার পর মৌসম নূরকে জেলা সভাপতি করে তৃণমূল। আর এক সময় জেলা সভাপতি থাকা দুলাল সরকারকে করা হয় জেলার আহ্বায়ক। পুরসভার নির্বাচনে তৃণমূলের প্রতীকে জয়ী হয়ে ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান হন দুলাল সরকার।
ওনার চেয়ারম্যান হওয়ার এক মাসের মধ্যেই ওনাকে সরিয়ে দিয়ে আরেক তৃণমূল নেতাকে চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়। দুলাল সরকারকে সরিয়ে তৃণমূল যাকে নতুন চেয়ারম্যান করে, তিনি বাম-কংগ্রেস জোটের নির্দল প্রার্থী হয়ে পুর নির্বাচনে লড়ে জয়ী হয়েছিলেন। এরপর তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। আর তৃণমূলে যোগ দেওয়া মাত্র ওনাকে চেয়ারম্যান পদ দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়।
এতদিন চুপ করে থাকার পর ঠিক নির্বাচনের আগেই দলের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন দুলাল সরকার। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে দলের পতাকা কাঁধে বয়ে নিয়ে যাওয়া দুলাল সরকার দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘দলের জন্য প্রচুর করেছি, ভাবলে অনুশোচনা হয়”
২০০৬ ও ২০১৬ সালে তৃণমূলের টিকিটে বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিলেন দুলাল সরকার। প্রথম থেকেই তৃণমূলের একের পর এক দায়িত্ব সামলে এসেছেন তিনি। এতদিন ওনার সাথে হয়ে যাওয়া অনাচার নিয়ে মুখ বন্ধ রাখলেও এখন আচমকাই সরব হয়েছেন তিনি। ওনার বেসুরো হওয়ায় দলবদলের জল্পনা বেড়েছে।