বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তিনমাসের প্রসূতির পেটে লাথি তৃণমূল (All India Trinamool Congress) নেতার। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জীবনতলা থানা অন্তর্গত রবীন্দ্রনগর গ্রামে। ঘটনার পর এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, মাঝরাতে ঘরের জানালা ভেঙে প্রসূতির পেটে লাথি মারেন গুণধর তৃণমূল নেতা। এমনকি সদ্যজাত শিশুকেও হত্যার চেষ্টা করেন ওই তৃণমূল নেতা। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম বাপি মণ্ডল।
জানা গিয়েছে যে, সোমবার মাঝরাতে আক্রান্ত প্রসূতি মধুমিতা হালদারের স্বামীকে হত্যা করার ছকে বাড়িতে চরাও হয় তৃণমূলের কর্মীরা। কিন্তু মধুমিতার স্বামী সেই মুহূর্তে বাড়ি ছিলেন না। সেই ক্ষোভে তিনমাসের প্রসূতি মধুমিতার পেটে লাথি মারে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। তৃণমূলের আক্রমণে গুরুতর আহত হন ওই গৃহবধূ। এমনকি তৃণমূলের নেতা কর্মীরা তিন মাসের দুধের শিশুকেও ছাড়ে নি। তাঁকেও খুনের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সৌভাগ্যবশত তাঁরা এই কাজে সফল হয় নি।
তৃণমূলের নেতা, কর্মীদের হাতে আক্রান্ত গৃহবধূ কোনমতে সেখান থেকে তাঁর তিন মাসের সন্তানকে নিয়ে প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে একেবারে তিনি জীবনতলার থানায় ছুঁতে যান। ঘটনার পরিপেক্ষিতে তৃণমূল নেতা বাপি মণ্ডলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মধুমিতা হালদার। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে।