বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এবারের নির্বাচনে ‘খেলা হবে” স্লোগান বিপুল হারে জনপ্রিয় হয়েছে। এই নিয়ে তৈরি হয়েছে গানও। আর সেই গানে নাচতে দেখা গিয়েছে আবাল বৃদ্ধ বনিতাদের। ডিজের তালে তালে সরস্বতী পুজোয় এই গান আরও জনপ্রিয়তা পেয়েছে। খেলা হবে স্লোগানটি বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক নেতা নিজের প্রচারে বিরোধীদের হুমকি হিসেবে দিয়েছিলেন। আর সেই স্লোগানটিই এবার এপার বাংলায় শাসক দল তৃণমূলের আনঅফিসিয়ালি স্লোগান হয়ে উঠেছে।
এই স্লোগান নিয়ে বিরোধীরা অনেক অভিযোগও করেছে। বিজেপি জানিয়েছে বাংলাদেশের থেকে জয় বাংলা স্লোগান আমদানি করার পর খেলা হবে স্লোগানও আমদানি করেছে তৃণমূল। আর তাঁদের বারবার বাংলাদেশ থেকে স্লোগান আমদানি করা এটাই বোঝাচ্ছে যে, তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ বানাতে চায়। এছাড়াও বিজেপি অভিযোগ করে বলেছে যে, নির্বাচনের আগে খেলা হবে স্লোগান দিয়ে রাজনৈতিক আবহাওয়া গরম করছে তৃণমূল। এই স্লোগানের ফলে রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা আরও বেড়ে যাবে।
যদিও বিজেপির কোনও কথাতেই কান দিতে নারাজ শাসক দল তৃণমূল। শাসক দলের ছোট থেক বড় নেতা, সাংসদ, বিধায়ক এমনকি মন্ত্রীদের মুখেও শোনা যাচ্ছে এই স্লোগান। আর এই স্লোগান দিয়েই এবার সরাসরি হুমকি দিলেন তৃণমূলের নেতা। তিনি সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী বুথ আর ক্যাম্পে থাকবে, আর আমরা মাঠে থাকব। খেলা হবে।” ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা মোদাসসের এহেন মন্তব্য করে তুমুল বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন।
তৃণমূল নেতা বলেন, ‘আমাদের এলাকায় আমাদের দলের লোক ছাড়া অন্য কেউ ভোট দিতে যেতে পারবে না। বুথে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। আর মাঠে মাঠে থাকবে তৃণমূলের ছেলেরা। খেলা হবে।” তৃণমূল নেতার এহেন হুমকির পর রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে চরম শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ভাঙড়ের ভোগালি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কাঠালিয়াতে দলীয় কর্মীসভায় এই বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে উঠে এলেন তৃণমূল নেতা।
তৃণমূল নেতা যখন এরকম হুমকির সুরে কথা বলছিলেন, তখন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম এবং ভাঙড়ের তৃণমূল ব্লক সভাপতি ওহিদুল ইসলাম। সবার সামনেই হুমকি ভরা সুরে এই কথা বলেন তৃণমূল নেতা। তিনি এও বলেন যে, এলাকায় তৃণমূলের ছেলেরা তৈরি আছে। আমরাই এখানে ভোট করাব।