বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাতের অন্ধকারে ফিল্মি কায়দায় তৃণমূল উপপ্রধানকে খুন (Tmc Leader Killed At Guma)। ঘরে ঢুকে শাসকদলের নেতাকে লক্ষ্য করে একের পর এক গুলি। তারপরই সব শেষ। রবিবার রাতে হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণা (North 24 Parganas) জেলায় গুমা এক নম্বর পঞ্চায়েত সংলগ্ন স্টেশন পাড়া এলাকায়। সূত্রের খবর, শ্যুটআউটের ঘটনার পর উপপ্রধান বিজন বিশ্বাসকে (৪২) উদ্ধার করে তড়িঘড়ি বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এভাবে বাড়িতে ঢুকে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানকে খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। মৃতের পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ, এই খুনের পেছনে হাত রয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ী গৌতম দাসের৷ এলাকাবাসীর অভিযোগ, গৌতম নানা সমাজ বিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। জমির দালালি করেন তিনি। শত্রুতার জেরেই এই খুন।
এলাকাবাসীর কথায়, গৌতমের অনিয়মের ব্যবসা ও অন্যান্য বেআইনি কাজে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন উপপ্রধান বিজন বিশ্বাস। নিজের পথের কাঁটা সরাতেই উপপ্রধানকে নির্মমভাবে খুন করেছেন ওই ব্যবসায়ী। দীর্ঘ দিন ধরেই উপপ্রধানের গৌতম দাসের শত্রুতা ছিল বলেই দাবি স্থানীয়দের।
রবিবার রাতেই অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর বাড়িতে ভাঙচুর চালায় স্থানীয় লোকজন৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় আসে হাবড়া ও অশোকনগর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশি তৎপরতায় কোনও রকমে পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে। দোষীর উপযুক্ত শাস্তি হবে বলে গ্রামবাসীদের আশ্বাস্ত করে পুলিশ। জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘সন্দেশখালি থেকে লুটের মাল কলকাতায় ওনার বাড়িতে পাঠায় শাহজাহান’, বিস্ফোরণ ঘটালেন শুভেন্দু
ওদিকে দলীয় কর্মীর খুনের ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে আসেন বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ডঃ কাকুলি ঘোষ দস্তিদার। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক, মর্মান্তিক ঘটনা। দলের অপূরণীয়ক্ষতি। বিজন ছাত্র রাজনিতি থেকে বর্তমানে গুমা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন। তাঁকে এইভাবে খুন হতে হল, এটা মানতে পারছি না। পুলিশ তদন্ত করছে।”