পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে কেষ্টর টেবিলে, একই সাথে দুই জেলার ভোটার! কে এই কৃপাময়?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিন দুয়েক আগে বহু টানাপোড়েনের পর বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নিয়ে দিল্লি পাড়ি দিয়েছে ইডি। তবে তাতেও বহু জলঘোলা। মঙ্গলবার রাজ্য পুলিশের কড়া নিরাপত্তা দিয়ে কেষ্ট মণ্ডলকে যখন কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেই সময় মাঝপথেই ঘটে অবাক করা কান্ড। নিরাপত্তার বেষ্টনী ভেঙে শক্তিগড়ে অনুব্রতর একই টিফিন টেবিলে পৌঁছে গিয়েছিলেন বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল ছাত্র নেতা (TMC Leader) কৃপাময় ঘোষ (Kripamay Ghosh)।

এ বার এই কৃপাময়ের নামে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ। একই সাথে অনুব্রত গড় বীরভূম এবং পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম দুই ভোটার তালিকাতেই জ্বলজ্বল করছে নেতার নাম। কিভাবে সম্ভব? উঠছে প্রশ্ন। অন্যদিকে, তৃণমূলের দাবি, নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার, দল এবিষয়ে কিছু জানে না। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

   

কে এই কৃপাময়? জানা গিয়েছে, নেতার পরিবার থাকেন আউশগ্রামের রামনগর পঞ্চায়েতের মালিয়ারায়। আজ থেকে প্রায় ২০-২৫ বছর আগে বাবা ও মায়ের সঙ্গে বোলপুরে চলে যান কৃপাময়। তিনি বোলপুরের বাঁধগোড়ার বাসিন্দা। সেই বিধানসভার ভোটার তালিকার ২৫০ অংশের ২৬ ক্রমিক নম্বরে জ্বলজ্বল করছে তার নাম। ১৮০ বাঁধগোড়া কালীকৃষ্ণ হাইস্কুলের ৩ নম্বর কক্ষের বুথের ভোটদাতা এই কৃপাময়। অন্যদিকে, মালিয়ারা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বুথের ভোটদাতা তিনি। নেতার বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ তুলছেন বিরোধীরা।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার শক্তিগড়ে অনুব্রতর টিফিনের টেবিলে যে তিনজন উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে একজন কৃপাময়। অন্যজন তুফান মির্ধা, যিনি অনুব্রত কন্যার গাড়ির চালক। বিরোধীদের দাবি সেদিনের সেই আধ ঘন্টা কথোপকথন পূর্ব পরিকল্পিত ছিল। সূত্রের খবর, কৃপাময় ওই দোকানে আগে থেকেই হাজির ছিলেন। প্রায় ৯০০ টাকার প্রাতরাশের বিলও মেটান তিনি।

kripamay ghosh

জানা গিয়েছে, ছাত্র নেতা কৃপাময় মৎস্য বিভাগের কর্মী, গাড়ির ব্যবসাও রয়েছে তার। বোলপুরের তৃণমূল কার্যালয়ের দেখভাল করতেন নেতা। পাশাপাশি অনুব্রতের সম্পত্তির দেখাশোনা করতেন বলেও খবর মিলেছে। একই সাথে দুই জেলায় কিভাবে ভোট দিচ্ছেন ছাত্র নেতা! এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি তিনি। পাশাপাশি তাকে যোগাযোগ করা যাচ্ছেনা বলেই জানা গিয়েছে।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর