ঘুমোতে পারেননি সারা রাত! পদ হারানোর পর এবার হাউ হাউ করে কেঁদেই ফেললেন কুণাল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের আবহে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh) সরিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। বৃহস্পতিবার জানা যায়, দলের তারকা প্রচারকের তালিকা থেকেও বাদ পড়েছে তাঁর নাম। তবে কুণাল ঘোষ এখনও নিজেকে ‘তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিক’ (Trinamool Congress) বলছেন। আজ আবার কর্মী-সমর্থকদের ভালোবাসা দেখে খানিক আবেগপ্রবণও হয়ে পড়েন তিনি।

এদিন দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক শেষের বেরনোর পর দলের কর্মী-সমর্থকদের মুখোমুখি হন কুণাল। তাঁদের মুখে ‘কুণাল ঘোষ জিন্দাবাদ’ স্লোগান শুনে খানিক আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এই দাপুটে রাজনীতিক। চশমা খুলে রুমাল দিয়ে চোখের জল মুছতে দেখা যায় তাঁকে। হাতজোড় করে ধন্যবাদও জানান তিনি।

এরপরেই পদে না থাকলেও পাশে থাকার বার্তা দেন কুণাল। বলেন, ‘আমি তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সাধারণ কর্মী। ঘরে বসে থাকা নেতারাই যখন দলের সাধারণ কর্মীদের সঙ্গে অসভ্যতা করেছেন, আমি নিজের সাধ্য অনুযায়ী তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। পদে থাকি আর না থাকি, কুণাল ঘোষ আপনাদের পাশে আছে। ধৈর্য হারাবেন না। মমতাদি দলনেত্রী, অভিষেক সেনাপতি। তৃণমূল কংগ্রেস একটা পরিবার। তবে দলের উন্নতির সঙ্গে সাধারণ কর্মীদের আবেগটাকেও গুরুত্ব দিতে হবে’।

আরও পড়ুনঃ শিক্ষার পর স্বাস্থ্য! রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ফের নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ? শোরগোল

এরপর আরও একধাপ এগিয়ে কুণাল বলেন, ‘হোয়্যাটসঅ্যাপে নেতাদের চামচাগিরি করে দল চলে না। আমি মন থেকে তৃণমূল করি। কেউ সেই অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না। দলীয় কর্মীদের এভাবে অপমান করা যাবে না। আমি পদে নই, পথে আছি। কুণাল ঘোষের কখনও পদের দরকার হয়নি’।

Kunal Ghosh crying

এরপর দলের সকল কর্মীর পাশে থাকার বার্তা দিয়ে তৃণমূলের এই ‘পুরনো সৈনিক’ বলেন, ‘যেখানে রাস্তান, যেখানে তৃণমূল, যেখানে দলের কর্মী, যেখানে বুথকর্মী, দেওয়াল লিখন কর্মী, কুণাল ঘোষ সেখানেই আছেন, তাঁদের পাশে আছেন এবং থাকবেন। আজ হোক বা কাল মমতাদি এবং অভিষেক এটা নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন। সেই আত্মবিশ্বাসের ওপর ভর করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাব’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর