বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একসময় ছিলেন এক দলের অংশ। তবে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে বদল বদলেছেন তাপস রায় (Tapas Roy)। তবে কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে যে চিড় ধরেনি, তা কার্যত পরিষ্কার হয়ে গেল। বুধবার মে দিবস উপলক্ষ্যে কলকাতার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ক্লাবের তরফ থেকে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন তৃণমূলের কুণাল। সেই অনুষ্ঠানেই কলকাতা উত্তরের বিজেপি (BJP) প্রার্থীর ভূয়সী তারিফ করেন তিনি।
এদিন কুণাল রক্তদান শিবিরে পৌঁছনোর আগেই তাপসের বলা হয়ে গিয়েছিল বলে খবর। হাজির ছলেন উত্তর কলকাতার বিজেপির জেলা সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ। আজ বক্তৃতার সময় কুণাল বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি তাপস রায়ের সম্বন্ধে আমার কিছু বলার নেই। যতদিন উনি জনপ্রতিনিধি ছিলেন ততদিন মানুষকে পরিষেবা দিয়েছেন। মানুষের জন্য সারাদিন ওনার দরজা খোলা থাকতো। মানুষ যখন তাঁকে ডেকেছেন, পাশে পেয়েছেন’।
এখানেই না থেমে তাপসের দলবদল নিয়ে আক্ষেপ করতে দেখা যায় তৃণমূল (TMC) নেতাকে। কুণাল বলেন, ‘তাপস রায়কে আমরা এক পরিবারে ধরে রাখতে চাইলেও দুর্ভাগ্যনশত পারিনি। আজ উনি অন্যদলের প্রার্থী। আমাদের দলের প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা আমাদের দলের প্রার্থীর হয়ে কাজ করব এবং তাপসদার দলের কর্মীরা ওনার হয়ে কাজ করবেন’।
আরও পড়ুনঃ তীব্র গরমে রাজ্যে আরও বাড়ছে গরমের ছুটি! কতদিন বন্ধ থাকবে স্কুল-কলেজ? জানাল শিক্ষা সংসদ
এরপর লোকসভা নির্বাচনে ছাপ্পা ভোট না দেওয়ার আর্জি করে কুণাল বলেন, ‘এখানে কোনও ছাপ্পা ভোট হবে না। যার ভোট তাঁকে নিজের ভোট দিতে দিন । কে প্রকৃত প্রার্থী সেটা মানুষ ঠিক করবে। কোথাও যদি কোনও ছাপ্পা হয়, তাহলে জানবেন তৃণমূল নেতৃত্বই বাধা দেবে। কোনও অবস্থাতেই, কোনও বুথে যেন মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে একটা ভোটও না পড়ে’।
কুণাল যখন মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাপস রায়ের ভূয়সী প্রশংসা করছেন তখন দেখা যায়, তমোঘ্ন তাপসের কানে কানে কিছু বলছেন। তাপসকেও খানিক অবাক দেখায়। উল্লেখ্য, কলকাতা উত্তরের বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাপসের ‘বিবাদে’র কথা মোটামুটি সকলের জানা। সম্প্রতি তাপসের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে সুদীপ বলেন, ‘আমার বিপক্ষে কে প্রার্থী হয়েছেন সেটার খোঁজ রাখি না। আমি প্রত্যেকবার নির্বাচনে লড়ি আগের বারের ব্যবধান ছাপিয়ে যাওয়ার জন্য। এবারও অন্যথা হয়নি’। তবে সুদীপ যাই বলুক না কেন, কুণালের মন্তব্য যে নতুন জল্পনার জন্ম দিয়েছে তা আর আলাদা করে বলে দিতে হয় না।