বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বহু জল্পনার পর খোঁজ মিলেছে মুকুল রায়ের (Mukul Roy)। বর্তমানে দিল্লিতেই (Delhi) রয়েছেন তৃণমূলের এই নেতা। নিজের প্রয়োজনেই রাজধানী পাড়ি দিয়েছেন তিনি। এমনটাই জানিয়েছেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক। অন্যদিকে, মুকুল পুত্র শুভ্রাংশুর দাবী অপহরণ করা হয়েছে তার বাবাকে। এই নিয়ে এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন শুভ্রাংশু। এবার নেতার এই তার ভিত্তিতেই এদিন বিজেপি নেতা (BJP leader) পীযূষ কানোরিয়াকে ডেকে জেরা করছে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ।
আজ দুপুরে পীযূষ কানোরিয়াকে এয়ারপোর্ট থানায় ডেকে জেরা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মুকুল পুত্রের অভিযোগ, বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় তার বাবার কাছে কোনো টাকা পয়সা ছিল না। কোনো এক এজেন্সির মাধ্যমে এক অবাঙালি ব্যক্তি মুকুল রায়ের প্লেনের টিকিট কাটার টাকা দেন বলে দাবি শুভ্রাংশুর। তার অভিযোগের ভিত্তিতেই পীযূষকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। জানিয়ে রাখি, বিজেপিতে থাকা কালীন এই পীযূষ মুকুলের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল রাতে খবর পাওয়া যায়, খোঁজ মিলছে না মুকুলের। রাতেই এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করে ছেলে শুভ্রাংশু জানান, তার বাবা নিখোঁজ। বিধায়কের পরিবার সূত্রে বলা হয়, গতকাল সন্ধেয় বাড়ি থেকে মুকুলকে নিয়ে যান দুই ব্যক্তি৷ তারপর থেকেই আর খোঁজ মিলছে না তার। জানা যায়, মুকুলের গাড়ির চালক রাজু মণ্ডল ও তাকে যিনি দেখাশোনা করেন সেই ভগীরথ মাহাত সোমবার সন্ধ্যার উড়ানে তাকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়েছেন।
যদিও নিজের দিল্লি যাওয়া প্রসঙ্গে মুকুল বলেন, ‘‘এমনিই এসেছি। দিল্লিতে কি আমি আসতে পারি না? কোনও বিশেষ কারণে আসিনি। আমি তো আগেও অনেক বার দিল্লি এসেছি। এ বার একটু দেরি হয়ে গেল আসতে। আমি তো এখানকার এমএলএ। এখানকার এমপি! যত দিন প্রয়োজন, তত দিন থাকব। আমি এমনি কাজে এসেছি দিল্লিতে।’’
এদিকে মুকুলের দিল্লিযাত্রা নিয়ে কিছুই জানতেন না বলে দাবি করেন শুভ্রাংশু। এই নিয়ে মঙ্গলবার সকালে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে মুকুলের পুত্র বলেন, ‘‘বাবার পারকিনসন্স রয়েছে, ডিমেনশিয়া রয়েছে। এমনকি, লিভার সিরোসিসও রয়েছে। বর্তমানে দেশের রাজনীতিতে কী হচ্ছে জানতে চাওয়া হলে উনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সমস্যা চলছে। উনি অসুস্থ। এমতাবস্থায় বাবাকে নিয়ে এই জল্পনার নীচু মানের রাজনীতি না করাই কাম্য।’’ পরে শুভ্রাংশু বলেন, একজন মানসিক অসুস্থ মানুষকে নিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থে টানাহেঁচড়া করা হচ্ছে।