কার নির্দেশে, কেন তৃণমূল নেতাকে হত্যা? গণপিটুনিতে মৃত্যুর আগে ‘খুনি’র চঞ্চল্যকর বয়ান, ভাইরাল ভিডিও

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উৎসবের মাঝে জোড়া খুনে জ্বলল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর। সোমবার সকালে দুষ্কৃতীদের গুলিতে (Shootout) প্রাণ যায় জয়নগর (Joynagar) থানার অন্তর্গত বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সাইফুদ্দিন লস্করের (৪৩)। অন্যদিকে তৃণমূল নেতার এক ‘খুনি’কে পিটিয়ে মারে উত্তপ্ত জনতা। গণপিটুনিতে মৃত্যুর আগের শেষ ভিডিওতে ওই অভিযুক্ত স্বীকার করে নেন যে অঞ্চল সভাপতি সইফউদ্দিন লস্করকে খুন করতে তারা পাঁচজন এসেছিল।

তৃণমূল নেতার মৃত্যুর পরই ভাইরাল হয় ২২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক প্রৌঢ়কে ঘিরে ধরে হাঁটাতে হাঁটাতে নিয়ে যাচ্ছেন অনেকেই। বৃদ্ধর চোখে মুখে সেই সময় আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। চোখে জল। ভিডিওতে জনতার চাপে তৃণমূল নেতাকে খুন করতে আসা বেশ কয়েকজনের নামও বলে দেয় ওই ব্যক্তি। যদিও তার কথা স্পষ্টভাবে বোঝা যায়নি। শুধু এটাই বলছিলেন মোট পাঁচজন মিলে তৃণমূল নেতাকে খুন করতে গিয়েছিল।

নিজ মুখে বিস্ফোরক স্বীকারোক্তির পরই জনতার মারে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। এখনও পর্যন্ত তাঁর নাম, পরিচয় জানা যায়নি। পরিচয় জানার জন্য খোঁজ চালানো হচ্ছে। যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি বাংলাহান্ট। উল্লেখ্য, সোমবার ভোরবেলা মসজিদে যাচ্ছিলেন সাইফুদ্দিন। সেই সময় তার উপর গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। এক রাউন্ড গুলি চলে। গুলিবিদ্ধ রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন: আদালতে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট যেতেই বাড়ির খাবার বন্ধ হল জ্যোতিপ্ৰিয়র! কী এমন ছিল তাতে?

ওদিকে দুষ্কৃতীর দল পালাতে গেলে তাদের মধ্যে এক দুষ্কৃতীকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপরই তার উপর চড়াও হয় উত্তপ্ত জনতা। চলে বেধড়ক মারধর। ঘটনাস্থলের ৫০০ মিটার দূরে এলাকাবাসীর মারের চোটেই মৃত্যু হয় তার। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। মৃত ওই তৃণমূল নেতা ও দুষ্কৃতীর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান অভিযুক্তরা সকলেই বহিরাগত।

jaynagar

প্রসঙ্গত, মৃত সাইফুদ্দিন লস্কর বামনগাছি অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী সেরিফা বিবি লস্কর বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতেরই তৃণমূলের পঞ্চায়েতের প্রধান। মৃতের বাবার অভিযোগ সিপিএম-এর আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এদিকে তৃণমূল নেতা খুনের পরই গ্রাম ঘিরে চলে হামলা। একের পর এক সিপিএম কর্মী-সমর্থকের বাড়ি ভাঙচুর, করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। প্রাণ ভয়ে ঘর ছাড়া বহু মানুষ। প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে গ্রামে তাণ্ডব চলে বলে দাবি গ্রামবাসীর।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর