বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বে ফের একবার তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জের। দলের ভিতর কোন্দলের অভিযোগে এবার প্রাণ হারালেন নদিয়ার (Nadia) তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা মতিরুল বিশ্বাস (Matirul Biswas)। সংখ্যালঘু সেলের তৃণমূল সভাপতিকে হত্যা করার ঘটনায় ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নওদার শিবনগর এলাকায়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মতিরুল বিশ্বাস মুর্শিদাবাদে করিমপুর ২ ব্লকের সংখ্যালঘু সেলের তৃণমূল সভাপতি। তাঁর স্ত্রী রিনা বিশ্বাস পঞ্চায়েত প্রধান। এক ছেলে মিশনে পড়াশোনা করে এবং ছোট্ট একটি মেয়ে রয়েছে তাদের। সূত্রের খবর, ছেলেকে নাড়ু দিতে মিশনে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। পরবর্তীতে বাড়ি ফেরার সময় মেয়ের জন্য পুতুল কিনে নিয়ে আসছিলেন তিনি।
তবে মাঝপথে আচমকাই তৃণমূল নেতার উদ্দেশ্যে তিন তিনবার বোমাবর্ষণ করা হয় এবং পরবর্তীতে পরপর তিনটি গুলি ছুড়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। অবশেষে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মতিরুল। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় স্থানীয় থানার পুলিশ এবং এরপর তাঁকে স্থানীয় একটি গ্রামীণ হাসপাতাল এবং এরপর মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি তৃণমূল নেতাকে।
সূত্রের খবর, গত বছর একটি ইটভাটার মালিকানা ক্রয় থেকে শুরু হয় বিতর্ক। এক্ষেত্রে মতিরুল বিশ্বাসের সঙ্গে নদিয়া জেলা পরিষদের সদস্য টিনা ভৌমিকের ঘনিষ্ঠ রাজকুমার, টিঙ্কু মণ্ডল এবং হাবিবের বিবাদ শুরু হয়। এক্ষেত্রে পরবর্তীতে ইটভাটাটি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন মনিরুল, তবে এরপরেও চলতে থাকে বিতর্ক।
উল্লেখ্য, হাবিব আবার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ আবু তাহের খানের ভাগ্নে। তৃণমূল নেতার মৃত্যুতে ইতিমধ্যেই ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। তার স্ত্রী তথা পঞ্চায়েত প্রধান রিনা বিশ্বাস বলেন, “টিনা এবং হাবিব প্ল্যান করে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে।” একই সঙ্গে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করারও দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবার থেকে শুরু করে তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা।
যদিও এ ঘটনায় বিশেষ কোন প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি আবু তাহের খান। তিনি বলেন, “চক্রান্ত করে কারো নাম নেওয়া হয়ে চলেছে। আমার ভাগ্নে কলকাতায় রয়েছে। আমি এই ব্যাপারে বিশেষ কিছুই জানি না। তদন্ত করে যদি কারোর বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত হয়, তাহলে ব্যবস্থা নিক পুলিশ।”