বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবারও ধর্ষণের খবরে চাঞ্চল্য বাংলায়। ফের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত আর এক তৃণমূল (All India Trinamool Congress) নেতা। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে নাম করে একাধিকবার নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামের প্রাক্তন এক তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রত্নাকর দে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় শুরু হয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়।
ঘটনাটি ঘটে আজ থেকে প্রায় দশ বছর আগে। বর্তমানে বছর পঁচিশের ওই মহিলা অভিযোগ করেন, দারিদ্র্যের কারণে সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস তৎকালীন সভাপতি রত্নাকর দে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলেন। সেই সময় তিনি ছিলেন নাবালিকা।
অভিযোগ, তখন সাহায্যের নাম করে কেতুগ্রাম পুরনো বাজারের কাছে একটি ভাড়া বাড়িতে, কখনও বা কাটোয়ার একটি লজে তাঁকে ডেকে পাঠাতেন ওই তৃণমূল নেতা। সেখানে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় তাঁকে। বিষয়টি কাউকে জানালে তিনি নির্যাতিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের খুন করার দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন। ওই তৃণমূল নেতার প্রভাব-প্রতিপত্তির কথা ভেবে ভয়ে এবং লজ্জায় কোথাও অভিযোগ করেননি ওই তরুণী।
তবে ঘটনা এখানেই শেষ নয়। নির্যাতিতার আরও অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত রত্নাকর দে নিজেকে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের আস্থাভাজন ও অতি কাছের লোক বলে দাবি করতেন। প্রশাসনের কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কোনও লাভ হবে না বলেও হুমকি দিতেন। জানা যাচ্ছে, অভিযোগকারিনীকে জোর করে একাধিক সাদা কাগজ ও স্ট্যাম্প পেপারে সই করিয়ে নেয় ওই তৃণমূল নেতা। পরে স্থানীয় একটি লজে তাকে জোর করে বউ সাজিয়ে সেই ছবিও তুলে রাখে ওই নেতা। যাতে পরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠলে ওই তরুণীকে স্ত্রী বলে দাবি করতে পারেন তিনি। নির্যাতিতার বলেন, ওই তৃণমূল নেতা প্রভাব খাটিয়ে সাদা কাগজের সই কাজে লাগিয়ে রেজি