বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২৬ সালের (Election 2026) বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই উত্তপ্ত হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি (Politics)। এবার দলবদলের হাওয়া বইল জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri)। রবিবার তৃণমূল (TMC) ছেড়ে একসঙ্গে শতাধিক কর্মী সমর্থক বিজেপিতে (BJP) যোগ দিলেন। জেলা বিজেপি সভাপতি শ্যামল রায়ের উপস্থিতিতে ফল্ডিং মোড় এলাকায় এই যোগদানপর্ব হয়। পাশাপাশি আরও ৪৫টি পরিবার হেমকুমারিতে বিজেপিতে নাম লেখায়। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিধানসভা ভোটের (Election 2026) আগে এর প্রভাব এলাকাভিত্তিক শক্তি সংহতিতে বড় ভূমিকা নিতে পারে।
তৃণমূল (TMC) ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) ঝাঁকে ঝাঁকে, জলপাইগুড়িতে দলবদল উৎসব
শুধু কর্মীই নয়, তৃণমূলের (TMC) একাধিক বুথ স্তরের নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী, যুব মোর্চার নেতা পলেন ঘোষ সহ জেলার বিজেপি নেতৃত্ব। একই দিন বিজেপির তরফে পালন করা হয় ডা. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির জন্মদিন (Shyama Prasad Mukherjee)। সেই অনুষ্ঠানে অনুপ্রাণিত হয়েই আরও এক দফায় দলবদল বলে দাবি বিজেপির। তাদের মতে, এই যোগদান প্রমাণ করে, রাজ্যে মানুষ তৃণমূলের (TMC) উপর আস্থা হারাচ্ছে।
ডোমকলে লাল পতাকা, রায়গঞ্জে কৃষ্ণ কল্যাণীর ফেক প্রোফাইল ঘিরে জল্পনা
জলপাইগুড়ির ঘটনা ছাড়াও সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের ডোমকলে (Domkal) দলবদল ঘিরে শাসকদলের অস্বস্তি বাড়ে। পুরো ওয়ার্ডের কর্মী-সমর্থক সিপিএমে যোগ দিলে রাতারাতি তৃণমূল পার্টি অফিসে উড়ে যায় লাল পতাকা। অন্যদিকে, রায়গঞ্জের (Raiganj) বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর নামে ফেসবুকে ছড়িয়েছে একটি প্রোফাইল, যেখানে লেখা “আমার পরিবার বিজেপি পরিবার”। প্রোফাইলের হেডারে আছে মোদী-নাড্ডার ছবিও। যদিও কল্যাণীর দাবি, সেটি ভুয়ো (Fake Facebook Profile)। তিনি বিরোধীদের কুৎসা ছড়ানোর অভিযোগ এনেছেন।
ছাব্বিশের (Election 2026) আগে ময়দান গরম, বিজেপিতে (BJP) ফের কৃষ্ণ কল্যাণী?
রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, ২০২১ সালের ভোটে বিজেপি টিকিটে জিতে পরে তৃণমূলে যাওয়া কৃষ্ণ কল্যাণী কি আবার ঘর ওয়াপসি করবেন? যদিও তিনি নিজে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি, কিন্তু তাঁর ফেসবুক ঘিরে তৈরি হওয়া জল্পনা ঘিরে উত্তেজনা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির অন্দরে তাঁর ফেরা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ২১ জুলাইয়েই তৃণমূলে পদার্পণ? জল্পনার মাঝে মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ, বললেন, বিজেপি মানেই…
তৃণমূলের (TMC) কাছে ‘বার্তা’ দিতে চাইছে বিজেপি (BJP)
বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছে, এই যোগদান ও জল্পনাগুলি আসলে তৃণমূলকে রাজনৈতিক বার্তা দেওয়া। একে শুধু প্রতীকী দলবদল নয়, বরং এক রাজনৈতিক আবহ তৈরির চেষ্টাও বলা হচ্ছে। দলবদলের খেলা এবার নির্বাচনের আগেই উত্তপ্ত করে তুলছে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ পর্যন্ত সব স্তর।