বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিধানসভা উপনির্বাচন দিয়ে শুরু, ফের সেই সাগরদিঘিতে (Sagardighi) বাম-কংগ্রেস জোটের জয়জয়কার। বিধানসভার পর এবার মুর্শিদাবাদে বার অ্যাসোসিয়েশনের (Bar Association) ভোটে জয়ী হল বাম ও কংগ্রেস (Left-Congress) জোট। দিন দিন শক্তিশালী হয়ে ওঠা এই জোটের কাছে গো হারা হারল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)।
পঞ্চায়েত ভোট পূর্বে বিরোধীদের এই জয় যে শাসকদলের অস্বস্তি বাড়াচ্ছে তা বোঝার অবকাশ রাখে না। এদিন লালবাগ মহকুমা আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থীরা তৃণমূলকে পরাজিত করে সম্পাদক এবং সভাপতি পদে জয়লাভ করেছেন। উপনির্বাচনের পর একজোটে দুই পদে জয় নিঃসন্দেহে বাড়তি অক্সিজেন জোগাচ্ছে বাম ও কংগ্রেসের জোটকে।
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) লালবাগ বার অ্যাসোসিয়েশনে মোট ২১৬ জন আইনজীবী ভোটদান করেন। মঙ্গলবার রাতে ভোটগণনা শেষে দেখা যায় জোড়াফুলকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে জয়ী হয়েছে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থীরা। ফলাফল সামনে আসতেই খুশিতে মেতে ওঠে বাম-হাত জোট।
গণনা শেষে দেখা যাচ্ছে, সম্পাদক পদে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী মহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন মোট ১২৩টি ভোট পেয়েছেন। যেখানে তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছেন মাত্র ৮৪টি ভোট। অন্যদিকে, সভাপতি পদে বাম-কংগ্রেস জোট সমর্থিত প্রার্থী সাইদুরজামান সরকার ইলিয়াসের পেয়েছেন ১২৫ টি ভোট। যেখানে তৃণমূল প্রার্থী মোশারফ হোসেন পেয়েছেন মাত্র ৮৪টি ভোট।
সংখ্যা গুলিই বলে দিচ্ছে বিপুল ভোটে শাসকদলকে পরাজিত করেছে বাম-কংগ্রেস জোট। তবে কী হাওয়া বদলাচ্ছে? শক্তিশালী হয়ে উঠছে বিরোধী জোট? প্রশ্ন উঠছে। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন পূর্বে সাগরদীঘির এই সমীকরণ কিছুটা হলেও চাপে রাখছে তৃণমূলকে, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধী জোট এই জয় অব্যাহত রাখতে পারে কিনা সেটাই এবার দেখার বিষয়।