বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই তৃণমূলের (tmc) অন্দরে ক্ষোভ বাড়তে দেখা গিয়েছে। বেশকিছু জায়গায় দলীয় কর্মীদের চাপে পড়ে শেষ মুহূর্তে আবার প্রার্থী বদল করতেও দেখা গিয়েছে শাসক দলকে। তবে বেশকিছু জায়গায় অপছন্দের প্রার্থীকে বদল না করায় তৃণমূলের সদস্যরা নির্দলের হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
প্রার্থী তালিকা প্রকাশের সময় তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল সুতি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন ইমানি বিশ্বাস। এরপরই দলীয় কর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়। প্রার্থী বদলের দাবী তুললেও দল তা না করায় অবশেষে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ মইদুল ইসলাম নির্দল প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন।
এবিষয়ে মইদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘আমরা অনেক আগেই দলকে জানিয়েছিলাম ইমানি বিশ্বাসকে তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে মেনে নিচ্ছি না। কিন্তু দল আমাদের কথা শোনেনি। তাই এলাকাবাসীর কথা ভেবে আমি নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিই’।
অন্যদিকে জলঙ্গি বিধানসভা কেন্দ্রেও একই চিত্র ধরা পড়ল। আব্দুর রজ্জাককে প্রার্থী ঘোষণা করায় তার প্রতিবাদে সরব হয়েছিল এলাকাবাসীরা। তাদের দাবী ছিল- সিপিএম বিধায়ক হয়েও শুভেন্দুর হাত ধরে তৃণমূলে এসেছিলেন আব্দুর রজ্জাক। এখনও তাঁর সঙ্গে শুভেন্দুর যোগাযোগ রয়েছে। তাই ওনাকে তাঁরা প্রার্থী হিসাবে মানতে নারাজ।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জলঙ্গি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্য রাফিকা সুলতানা নির্দল প্রার্থী হয়ে নির্বাচন লড়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি জানান, ‘শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে এখনও সম্পর্ক রয়েছে আব্দুর রজ্জাকের। রাজ্য নেতৃত্বকে একথা বহুবার জানিয়েই কোন লাভ হয়নি। তাই মানুষের দিকটা বিচার করে আমি নির্দল প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি’।