বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এদিন দেশজুড়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন উপলক্ষ্যে (President Election) ভোটদান অনুষ্ঠিত হলো, যার ফলাফল ঘোষণা হতে চলেছে একুশে জুলাই। রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে বিজেপির (BJP) পক্ষ থেকে দ্রৌপদী মুর্মুকে (Draupadi Murmu) দাঁড় করানো হয়। এক্ষেত্রে আদিবাসী মহিলা হিসেবে দ্রৌপদীদেবীকে প্রার্থী করা বিজেপির সুনির্দিষ্ট কৌশল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে তাঁর জয় একপ্রকার নিশ্চিত। এই পরিস্থিতিতে দেশের প্রথম আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাঁর অন্তর্ভুক্তি ঘটবে কিনা, তা সময় বলবে। তবে এর আগে এদিন দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) আদিবাসী বিধায়ক বীরবাহা হাঁসদা (Birbaha Hansda)। তাঁর দাবি, “মানুষকে ভুল বুঝিয়ে কোনরকম লাভ হবে না।”
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোটদান করতে এসে এদিন বাংলার আদিবাসী বিধায়ক বীরবাহা বলেন, “আমি একজন আদিবাসী মহিলা। আমরা ধর্মের জায়গায় সারি ধর্ম লিখি। কিন্তু দ্রৌপদী মুর্মু সেখানে হিন্দু ধর্ম উল্লেখ করেন। সাঁওতালরা কিন্তু সারি ধর্ম মেনে চলে, হিন্দু নয়। তাই আমার মনে হয়, বিজেপি মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে। মানুষ সব বোঝে। এক্ষেত্রে সারি ধর্মের কাউকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করা হলে আমাদের কোন রকম আপত্তি থাকতো না।”
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আদিবাসী মহিলা হিসেবে দ্রৌপদী মুর্মুকে প্রার্থী করে সুনির্দিষ্ট কৌশল নিয়েছে বিজেপি। এক্ষেত্রে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখেই তাদের এই চাল বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গেও জঙ্গলমহলের পাশাপাশি মোট ৪৭ টি বিধানসভা এবং ৭ টি লোকসভা কেন্দ্রে ‘আদিবাসী’ ফ্যাক্টর কাজ করে। সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রার্থী হিসেবে দ্রৌপদী মুর্মুর নাম আগে থেকে ঘোষণা করা হলে আমরা ভেবে দেখতাম।”
স্বাভাবিকভাবেই আদিবাসী ফ্যাক্টরকে কাজে লাগাতে মরিয়া কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বীরবাহা হাঁসদার এহেন মন্তব্য যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও শাসক দল এবং বিজেপির পক্ষ থেকে এই প্রসঙ্গে কোনরকম মন্তব্য করা হয়নি।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা