বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কিছুদিন হল মিটেছে পঞ্চায়েত ভোট! প্রত্যাশা মতোই এবারেও বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে গ্রামবাংলার দখল নিজের হাতের মুঠোয় নিয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। তবে ভোটের আগে হোক বা পরে, দলেরই বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের একাধিক নেতাকে। এই যেমন কিছুদিন আগেই ভোট নিয়ে বিস্ফোরক ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিশ আলি (TMC MLA Idris Ali)।
সটান বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে তৃণমূল MLA বলেছিলেন, “টিকিট দেওয়ার নাম করে ব্লক সভাপতি টাকা তুলছেন। ভগবানগোলা-২ ব্লকে যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে, সেখানে ৩০-৪০ লাখ টাকার গল্প রয়েছে। আমাদের পরিবর্তনের দরকার। ব্লক সভাপতিদের সব থেকে বেশি বদলের প্রয়োজন।”
বিধায়ক বলেছিলেন, ‘ফেলো কড়ি, পাও পঞ্চায়েতের পদ, এমনটাই হয়েছে দলে।’ স্বাভাবিকভাবেই প্রকাশ্যে এই মন্তব্য করায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্যে। এতদিন বিরোধীদের যা অভিযোগ ছিল তা এবার সটান তৃণমূল বিধায়কের মুখে? এই নিয়ে শুরু হয়েছিল জোর বিতর্ক।
আরও পড়ুন: তদন্তে ঘোর অসহযোহিতা! কুণালের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ ED-র
বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ দলের অধিকাংশ। ক্ষুব্ধ পরিষদীয়মন্ত্রী তথা শৃঙ্খলা কমিটির চেয়ারম্যান শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও। এই বিষয়ে শোভনদেব বলেন, “ইদ্রিশ যা বলেছেন না জেনে বলেছেন। উনি মাঝে মধ্যেই এমন কথা বলে থাকেন। দল যা নির্দেশ দিয়েছে তা মানতে হবে।” দল বিধায়কের এই মন্তব্যকে ভালোভাবে নেবেন না বলেও মন্তব্য করেন পরিষদীয়মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পুজোর আগে ফের ছুটি! অক্টোবরে দুদিন বন্ধ থাকতে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিস? কারণ কী?
শুধুই তাই নয়, এই বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রিপোর্ট করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। মন্ত্রীর কথায়, “এর আগেও শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি ওকে সাবধান করেছে। উনি একজন সাংসদ ছিলেন, এখন বিধায়ক। ওনার থেকে এসব একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না।দল এটাকে সহজ করে নেবে না। আমাকে ব্যবস্থা নিতে বললে নেব। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব।” বিশেষজ্ঞ মহলের মতে এবার বিধায়কের বেফাঁস মন্তব্যের জন্য তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার পথে তৃণমূল।