‘পিসি-ভাইপোকে ধরাই উচিত, প্রচুর সম্পত্তি করেছে, লজ, শপিং মল..’, কাকে নিয়ে বেফাঁস তৃণমূলের জীবনকৃষ্ণের বাবা?

Published on:

Published on:

recruitment scam(3)

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ফের গ্রেফতার হয়েছেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। এর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। বহুদিন জেলে থাকার পর কয়েক মাস আগে সুপ্রিম কোর্টে জামিনও পেয়েছিলেন। এবার ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন জীবনকৃষ্ণের বাবা বিশ্বনাথ সাহা। যা নিয়ে নতুন করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

ছেলে-বোনের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জীবনকৃষ্ণের বাবার | Jiban Krishna Saha

নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ফের এক্টিভ ইডি। জায়গায় জায়গায় চলছে চিরুরি তল্লাশি। গতকালই জীবনকৃষ্ণের মুর্শিদাবাদের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। পাশাপাশি, একই মামলায় সকাল থেকে তাঁর পিসি মায়া সাহার সাঁইথিয়ার বাড়িতেও টানা তল্লাশি অভিযান চালিয়েছেন ইডির গোয়েন্দারা।

জীবনের পিসি মায়া সাঁইথিয়া পুরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর। তাঁর স্বামী সুব্রত সাহাও স্থানীয় তৃণমূলের পরিচিত মুখ৷ তাঁর বাড়িতেই তল্লাশি অভিযানে নামে ইডি। সূত্রের খাবাব, একাধিক নথি মিলেছে পিসির বাড়ি থেকে। যখন মায়ার বাড়িতে চলছে চিরুনি তল্লাশি, তখন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাবা তথা কাউন্সিল মায়া সাহার দাদা বিশ্বনাথ সাহা বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এনেছেন তাঁর বোনের ছেলে ও বোনের বিরুদ্ধে।

সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে বিশ্বনাথবাবু বলেন, “ওদের ধরাই উচিত। ওরা প্রচুর সম্পত্তি করেছে, একটা লজ, একটা শপিং মল ৷ ইডিরা জানে? জানে না। কিছুই ছিল না, বিধায়ক ও কাউন্সিলয়র হয়েই ওরা এত সম্পত্তি করেছে ৷ বেনামে জমি কিনে রেখেছে।” ছেলে আর বোনের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই বলেও জানান বিশ্বনাথবাবু। তিঁনি বলেন, “জীবনকৃষ্ণর সঙ্গে ওর পিসির আর্থিক লেনদেন ছিল।”

আরও পড়ুন: গৃহবধূকে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ বাড়ির মালিকের! প্রমাণ লোপাটে পুড়িয়ে দেওয়া হল পরনের নাইটিও, হাড়হিম ঘটনা মহেশতলায়

তিঁনি আরও বলেন, “বিধায়ক ছেলে ও কাউন্সিলর বোন বেনামে প্রচুর সম্পত্তি করেছে। অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলাও দেওয়া হয়।” উল্লেখ্য, ইডির অভিযোগ, তৃণমূলের বিধায়ক হওয়ার আগে চাকরি-বিক্রির এজেন্ট ছিলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। পরে বিধায়ক হওয়ার পর আরও বড় হয় তাঁর ‘ব্যবসা’। ১০-১২ জনকে নিয়ে জীবন চাকরি-বিক্রির নেটওয়ার্ক তৈরী করেন বলে অভিযোগ।