গলায় চেন আর কানে দুল থাকলে পঞ্চায়েতের টিকিট দেওয়া হবে না! সাফ বার্তা TMC বিধায়কের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) মাঝেমধ্যেই উপহাস করে বলেন, ‘লাল চুল, কানে দুল, তার নাম যুব তৃণমূল!’ বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, ‘তৃণমূলের (TMC) সব পাড়ার নেতার গলায় গরু বাঁধা যাবে এমন মোটা সোনার চেন রয়েছে। ছোটোখাটো নেতারা যদি এইপরিমাণ সম্পদ করেন তাহলে বড় নেতাদের কী রয়েছে?’ এবার সেই শুভেন্দু অধিকারীর সুরেই কথা বললেন তৃণমূল বিধায়ক।

বাঁকুড়ার (Bankura) তালড্যাংরার (Taldangra) তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) অরূপ চক্রবর্তী (Arup Chakraborty) বৃহস্পতিবার বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচন আসছে। যাঁরা মানুষের কাজ করবেন, তাঁরাই দলের টিকিট পাবেন।’ প্রসঙ্গত একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই পঞ্চায়েতে টিকিট পাওয়ার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘোষণা করেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বলেছিলেন, কোনও নেতার তল্পিবাহক হয়ে টিকিট পাওয়া যাবে না। কেউ যদি ভাবেন নেতার জলের বোতল বয়ে দিয়ে টিকিট পাবেন তাহলে ভুল ভাবছেন।

অরূপ চক্রবর্তী এদিনের সভায় বলেন, ‘কানে মাকরি (বাঁকুড়ার স্থানীয় ভাষায় দুল)আর গলায় চেন থাকলে পঞ্চায়েতে টিকিট পাওয়া যাবে না। কেউ যদি ভাবেন মস্তানি করব, তাহলে দল তাকে টিকিট দেবে না।’ তালড্যাংরার তৃণমূল বিধায়ক আরও বলেন, ‘যাঁরা এতদিন দুর্নীতি করেছেন তাঁরাও টিকিট পাবেন না। কারণ দল সবার পিছনেই সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে রেখেছে।’

দলের মধ্যে যে নেতারা দুর্নীতিগ্রস্থ তাঁদের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে বিধানসভায় সরব হওয়ার কথাও বলেছেন অরূপবাবি। তালড্যাংরার বিধায়ক বলেন, ‘কাদের জন্য আজকে শিক্ষক চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তায় বসে রয়েছেন? যারা এই কাজ করেছিল আজ দল তাঁদের বিতাড়িত করেছে। কেউ কেউ জেলে আছে। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সামনে বিধানসভায় আওয়াজ তুলব, দাগিদের সঙ্গে আর থাকব না। দুর্নীতিগ্রস্থ সবাইকে দল থেকে তাড়াতেই হবে।’

অরূপ চক্রবর্তীর মন্তব্যের জবাবে বিজেপির বাঁকুড়া জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল বলেছেন, ‘বাঁকুড়া জেলায় যে দুর্নীতি হয়েছে তার সঙ্গে অনেকাংশেই অরূপ চক্রবর্তী যুক্ত রয়েছেন। এখন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উনি নিজের ইমেজ পরিস্কার করতে নেমেছেন। কিন্তু বাঁকুড়ার মানুষ জানেন তৃণমূলের নেতাদের কী চরিত্র!’

Sudipto

সম্পর্কিত খবর