বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুদিন ধরে কলকাতার প্রথম সারির হাসপাতাল এসএসকেএমের পরিষেবা নিয়ে সরব তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। সেই নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। আর এরই মধ্যে সোমবার রামপুরহাট মেডিক্যালের পরিষেবা (Rampurhat Medical Services) নিয়ে গাফিলতির অভিযোগ শাসকদকের নেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের (Satabdi Roy)।
অভিযোগ, রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে আগত রোগীদের বিভিন্ন রকমের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। মদনের মতো একই অভিযোগ তুলে শতাব্দী বলেন, হাসপাতালে সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধা থাকা সত্ত্বেও হাসপাতাল চত্বরেই বেশ কিছু দালাল চক্র চলছে। সেই সব দালালেরা রোগীর পরিবারকে ভুল বুঝিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাচ্ছে। তার বিনিময়ে নেওয়া হচ্ছে মোটা কমিশন।
এই ঘটনা কানে আসতেই রবিবার বিকেলে তড়িঘড়ি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। রামপুরহাট সার্কিট হাউসে হওয়া সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শতাব্দী রায়, জেলাশাসক বিধান চন্দ্র রায়, রামপুরহাট মহকুমা শাসক সাদ্দাম নাভাস, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা সহ অন্যান্যরা। প্রথম এই অভিযোগ তুলেছেন রামপুরহাটের বিধায়ক তথা মেডিক্যালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল সূত্রে খবর, শতাব্দী রায়ের কাছে এক রোগী রামপুরহাট মেডিকেল কলেজের পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ জানান। তৎক্ষণাৎ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য পরিষেবা খতিয়ে দেখার জন্য সুপার এবং সহকারী সুপারকে ফোন করেন তিনি। কিন্তু তারপরেও বারংবার একই অভিযোগ উঠে আসে।
মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষকে এই নিয়ে ফোন করার পরেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় সরব হন শতাব্দী। এদিনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দেন সাংসদ শতাব্দী রায়। বলেন, “আমার অনুমোদনের পরও যদি এই অবস্থা হয়। তাহলে সাধারণ মানুষের কি অবস্থা? তিনি আরও বলেন, ‘যা সমস্যা আছে সেই নিয়ে আলোচনা করেছি। প্রতি দু’মাস অন্তর আমরা এই নিয়ে রিভিউ মিটিং করব” অন্যদিকে, রবিবারের দীর্ঘ বৈঠক শেষে এমএসভিপি পলাশ দাস বলেন, ‘হাসপাতালের পরিষেবার উন্নতি এবং পরিকাঠামোর উন্নতির বিষয়ে ফলপ্রস আলোচনা হয়েছে।’
রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ তুলে বলেন, ‘হাসপাতালে দালাল চক্রের মাধ্যমে যখন তখন রোগীকে ছাড়িয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি করা হচ্ছে।’ অন্যদিকে সম্প্রতি নলহাটি থানার পাখা গ্রামের এক গুলিবিদ্ধ যুবকের চিকিৎসা নিয়ে অভিযোগ তুলে সরব হন শতাব্দী। সাংসদের দাবি ,’গুলিবিদ্ধ যুবকের চিকিৎসার ব্যাপারে একাধিকবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ফোন করা হলেও ঠিক সময়ে ঠিক চিকিৎসা করতে না পেরে পরের দিন বিকেলে ওই রোগীকে রেফার করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।’