বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) পূর্বে বঙ্গে লাগাতার প্রকাশ্যে শাসক-বিরোধীর বাক্যযুদ্ধ। বিজেপির হুমকি-হুঁশিয়ারির নিশানায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে স্বাবাভিকভাবেই ঘাসফুলের নিশানায় গেরুয়া শিবির। অভিযোগ, পাল্টা-অভিযোগে রীতিমতো সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এই অবহেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তৃণমূল সাংসদ (TMC MP) শান্তনু সেন (Santanu Sen)। “বিজেপি (BJP) একমাত্র ভয় খায় তৃনমূল আর মমতা ব্যানার্জিকে।” ঠিক এমনই কথা শোনা গেল তৃণমূল নেতার গলায়।
সম্প্রতি,বাংলার মানুষের বঞ্চনার কথা দিল্লিতে পৌঁছে দিতে রাজধানীর মাটিতে ‘বাংলার কথা দিল্লিতে’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ‘বাংলাহান্ট’। সেখানেই সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক তির্যক অভিযোগে সরব হন শান্তনু সেন। ছেড়ে কথা বললেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও। শুধু তাই নয় ভারতীয় জনতা পার্টিকে “ভারতীয় জোকার পার্টি” বলেও তুলোধোনা করেন তিঁনি।
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল নেতা বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের রাতের ঘুম উড়ে যাওয়ার যদি কোনো কারণ থাকে তবে সেটা একমাত্র তৃণমূল সুপ্রিমো বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। পাশাপাশি তিঁনি প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকায়। “মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বাড়িতে কোনো অনুষ্ঠান হচ্ছে, অথবা অভিষেক ব্যানার্জী ও মুখ্যমন্ত্রী কোথাও কোনো কর্মসূচীতে যাচ্ছে, তখনই তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে ইডি, সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থা গুলোকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে মোদী সরকার।” ঠিক এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য শোনা গেল তৃণমূল সাংসদের গলায়। পাশাপাশি কটাক্ষের সুরে বিজেপি সরকারকে বিঁধে তিঁনি বলেন “নিজেদের প্রয়োজনে পাড়ার কলতলার ঝগড়াতেও ইডি সিবিআই কে কাজে লাগায় কেন্দ্র।”
এখানেই থেমে থাকেননি তৃণমূল নেতা। এরপর নিজের কথায় তিঁনি একহাত নেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। শুভেন্দুর উদ্দেশ্যে তোপ দেগে শান্তনু সেন বলেন, ‘ রাতের অন্ধকারে ভোট চুরি করে জয়ী হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। জেল খাটার ভয়ে, টাকা নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন তিঁনি। বর্তমানে নিজের দলেই কোনঠাসা বিরোধী দলনেতা। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও তাঁকে কুৎসা করতে ছাড়েন না।”
এরপরেই নিজের বক্তব্যে তিঁনি নিয়ে আসেন বিরোধী দলনেতার ডিসেম্বর ডেডলাইনের হুঁশিয়ারি। শিশির পুত্রের তারিখ রাজনীতির দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাকে টেনে তিঁনি বলেন, “কম্বল দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই একটা ছোট জায়গাতে সাধারণ মানুষকে নিয়ে এসে অন্যায়ভাবে পদপৃষ্ট করে মেরে ফেলেছে শুভেন্দু অধিকারী।”
এদিন তৃণমূল সাংসদের কথায় উঠে এল বঙ্গের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রসঙ্গও। শান্তিপূর্ণভাবে বঙ্গে পঞ্চায়েত অনুষ্ঠান হবে বলেও আশ্বাস দেন তিঁনি। পাশাপাশি খুব শীঘ্রই লাল কার্ড দেখিয়ে রাজ্যের মানুষ বিজেপিকে বাংলা থেকে বিতাড়িত করবে বলেও এদিন হুঁশিয়ারি শোনা গেল তৃণমূল সাংসদের গলায়।