বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুদিন আগে ফেসবুকে বিস্ফোরক পোস্ট করে রাজ্য রাজনীতিতে ভূমিকম্প নামিয়ে দিয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। সেদিনের পোস্টে নিজের দলের প্রতি আক্ষেপ জাহির করে বলেছিলেন যে, ১৬ জানুয়ারি দুপুর দুটোর সময় লাইভে এসে নিজের সিদ্ধান্ত নেব। এরপর গতকাল ১৫ জানুয়ারি সকাল সকাল শতাব্দী রায় বলেন, দিল্লী যাচ্ছি পরিচিতদের সাথে দেখা হতেই পারে।
শতাব্দী রায়ের এই মন্তব্যের পর নড়েচড়ে বসে তৃণমূল নেতৃত্ব। চলে মানভঞ্জনের পালা। শতাব্দী রায়কে ফোন করেন একের পর এক তৃণমূল নেতা। এরপর শতাব্দী রায়ের বাড়িতে যান তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এরপর তিনিই শতাব্দী রায়কে নিয়ে ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে যান। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে ঘণ্টা দুয়েক মিটিং চলে।
মিটিং ছেড়ে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের শতাব্দী রায় বলেন, ‘আমার সব অভিযোগ জানিয়েছি। সমস্যার সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। আমি কোনও রাজনৈতিক পরিবার থেকে রাজনীতিতে নামিনি। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই রাজনীতিতে এসেছি। ওনার পাশেই আছি। এখন আর দিল্লী যাচ্ছি না।”
শতাব্দী রায় নিজের কথা রেখেছেন তিনি আর দিল্লী যান নি, আর না বেসুরো হয়েছে। উল্টে তৃণমূল কর্মীদের চাঙ্গা করার বার্তা দিয়েছেন এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে ফেসবুকে পোস্টও করেছেন। তবে শতাব্দী রায় দিল্লী না গেলেও, তিনি পশ্চিমবঙ্গের বাইরে বেরিয়েছেন। তবে এনার এবারের সফর আর রাজনৈতিক না। এবার তিনি ছুটি কাটাতে বেরিয়েছেন।
আজ শতাব্দী রায় সপরিবারে গোয়া যাচ্ছেন ছুটি কাটাতে। দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে আগামী ২৫ জানুয়ারি বাড়ি ফিরবেন তিনি। এরপরই তিনি নির্বাচনী প্রচারে লেগে পড়বেন। গত দুদিন সাংসদের উপর নানান ঝক্কি গেছে, আর সেই কারণেই হয়ত একটু মুক্ত বাতাসের খোঁজে তিনি গোয়ায় যাচ্ছেন।