প্রচণ্ড গরমে নিজে থেকেই ফেটে যাচ্ছে! বিস্ফোরণ নিয়ে অকাট্য যুক্তি পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক সৌগতর

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এগরা, বজবজ আর এবার মালদা। বিগত কিছুদিন থেকে রাজ্যে একের পর এক জায়গা থেকে উঠে আসছে ভয়াবহ বিস্ফোরণের খবর। সেই নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যেই এবার নয়া তত্ত্ব খাড়া করলেন তৃণমূল সাংসদ (Trinamool Congress MP) তথা পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক সৌগত রায় (Saugata Roy)। কী তার যুক্তি? শাসকদলের নেতার কথায়, প্রচণ্ড গরমে বাজির মশলায় নিজে থেকেই বিস্ফোরণ হতে পারে।

এখানেই শেষ নয়। সৌগতবাবুর আরও দাবি, রাজ্যে কোথায় কোথায় বাজি রাখা আছে তা পুলিশ জানবে কী করে? ভোট পূর্বে সোমবার বিকেলে এক সভায় যান সৌগতবাবু। আর সেখান থেকে বারংবার বিস্ফোরণের ঘটনায় মুখ খোলেন তৃণমূল সাংসদ। তাও আবার পদার্থবিদ্যার নয়া যুক্তি নিয়ে।

ঠিক কী কী বললেন তিনি? সৌগতবাবু বলেন, ‘প্রচণ্ড গরম পড়েছে। এই গরমে পটাশিয়াম ক্লোরাইড ও আর্সেনিক ট্রাইসালফাইড একসঙ্গে রাখলে বিস্ফোরণ হতেই পারে। রাজ্যে ৩৮ হাজার গ্রামে কোথায় কোথায় বাজি লুকিয়ে রাখা আছে তা কি পুলিশের পক্ষে জানা সম্ভব?’

Untitled design 2022 08 22T103118.140

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহ থেকে রাজ্যে একের পর এক জায়গা থেকে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের শব্দ। সবমিলিয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। গত মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের খাদিকুল গ্রামে ভানু বাগের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে একজোটে মৃত্যু হয় ১২ জনের। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে ছিল মানুষের দেহ।

সেই রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবার রাতে বজবজে বাজি বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। তবে এখানেই সমাপ্ত নয়, মঙ্গলবার সকালে মালদার ইংরেজবাজারে বাজির দোকানে অগ্নিকাণ্ডে এখনো পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে আরও তিন জন।

বার বার একই ঘটনায় হাজারো প্রশ্ন উঠে আসছে। কোথা থেকে এত অবৈধ বাজি আসছে? কোন নিয়মে চলছে সেই কারখানা গুলি?এই সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখতে সোমবার নবান্ন (Nabanan) একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গড়েছে। যেই কমিটি নেতৃত্বে থাকছেন মুখ্যসচিব। কমিটিতে থাকছে এমএসএমই, পঞ্চায়েত, দমকল, পুরদফতর, স্বরাষ্ট্র দফতরের সদস্য। পাশাপাশি খুব শীঘ্রই বাজি ক্লাস্টার তৈরি করে নিয়মিত নজরদারি রাখার পরিকল্পনাও করছে সরকার।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর