বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বড় জয়ের পর, এবার টার্গেট ২০২৪-র লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ভূয়সী প্রশংসা করে, মোদী বিরোধী মুখ হিসেবেও তুলে ধরা হচ্ছে তাঁকে। অন্যদিকে সর্বভারতীয় দলের তকমা পেতেও মরিয়া তৃণমূল (tmc) শিবির। সেই লক্ষ্যে এগিয়েই দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজ্যে নিজেদের কতৃত্ব গড়ে তুলতে চাইছে সবুজ বাহিনী।
সেইমত এগিয়ে এবার উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) একাধিক দলীয় কার্যালয় খুলে ফেলল তৃণমূল (TMC) কর্মীরা। দীর্ঘদিন ধরে লখনউয়ে একটি তৃণমূল কার্যালয় থাকার পর এবার বরেলি, মোরাদাবাদ, আলিগড়, আগ্রা, গোরক্ষপুর, আজমগড়, বারাণসী, মির্জাপুর, এলাহাবাদে খুলে গেল তৃণমূল পার্টি অফিস।
এবিষয়ে উত্তর প্রদেশের নেতা নীরজ রাই জানিয়েছেন, ‘বাংলায় নির্বাচনে বিজেপিকে হারিয়ে তৃণমূল ক্ষমতায় আসায়, উত্তরপ্রদেশের মানুষও খুবই উৎসাহিত। সেই কারণেই আমরা এখানে তৃণমূলের কার্যালয় খুলেছি’।
ইতিমধ্যেই স্যোশাল মিডিয়ায় দারুণ ভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে তৃণমূলের বিভিন্ন পেজ। যেখান থেকে ঢালাও ভাবে প্রশংসা করা হচ্ছে তৃণমূলের। ইতিমধ্যেই ভীষণভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে টিএমসি ফর ত্রিপুরা, টিএমসি ফর অসম, টিএমসি ফর মণিপুর, টিএমসি ফর উত্তরপ্রদেশ, টিএমসি ফর মহারাষ্ট্র, টিএমসি ফর ঝাড়খণ্ড, টিএমসি ফর বিহার, টিএমসি ফর ওড়িশা।
এইসকল পেজ সম্পর্কে দলের শীর্ষ নেতারা অনেকে অবগত না থাকলেও, স্যোশাল মিডিয়ায় তৃণমূলের নানারকম কর্মকাণ্ড তুলে ধরছে এই সকল পেজ। যেখানে তৃণমূলের গুণগান করার পাশাপাশি, বিজেপি বিরোধী প্রচারও চলছে জোর কদমে।
এবিষয়ে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় জানিয়েছেন, ‘এটা ভীষণই ভালো একটা উদ্যোগ। স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহারের মাধ্যমে যুব সমাজের প্রতিনিধিরা দেখতে পাচ্ছেন, পশ্চিমবাংলায় মমতা বন্দোপাধ্যায় কি কি প্রকল্প এনেছেন এবং আগামীতেও কি কি করার প্ল্যান করেছেন’।